মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০০ এএম, ১৬ জুন ২০২৪
ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্য স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এ সময় অপহৃত বাংলাদেশি নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের একটি হোটেলে ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন- প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি মো. শিহাব এবং তার স্ত্রী নুপুর সুলতানা। বর্তমানে তারা দুজন রিমান্ডে রয়েছেন। এ ঘটনায় টিকটকার মো. হৃদয় নামে আরেক সহযোগী পলাতক।

jagonews24অপহরণকারী মো. শিহাব তার স্ত্রী নুপুর সুলতানা ও মো.হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেন, আমার কাজিন উম্মে রাইজাকে টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া এনে অপহরণকারীচক্র কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মো. শিহাব মোবাইলে ৫ লাখ থাকা দাবি করে। পরে বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। তখন শিহাব আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে উম্মে রাইজাকে বিক্রি করে দেবে বলে হুমকি দেয়। অপহৃত বাংলাদেশি নারী উম্মে রাইজাকে ৪ দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায়।

অপহরণকারীরা এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি। মুক্তিপণ না দিলে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণের পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে বিক্রি করে দেবে বলেও হুমকি দেয়।

পরে কুয়ালালামপুরের দাংওয়াঙ্গি থানায় ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিহাব ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে টিকটকার হৃদয় পলাতক অবস্থায় ভুক্তভোগীকে আবারও হুমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতাবোধ করায় দাংওয়াঙ্গি থানায় মামলা দায়েরসহ কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জান্নাতুল নাঈমা পোষণ আরও বলেন, আমি আমার জীবন ও শিশুর জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমি এ ব্যাপারে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]