বিমান কিংবা জাহাজে নামাজ পড়ার হুকুম কী?

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৮

সড়ক পথে যানবাহনে চলাচলের সময় নেমে কোনো স্থানে নামাজ আদায় করা সহজ। কিন্তু বিমান কিংবা জাহাজে চলাচলের সময় ইচ্ছা থাকা সত্বেও নির্ধারিত গন্তব্য ছাড়া অন্য কোথাও নেমে নামাজ আদায় করার কোনো সুযোগ নেই।

নামাজের জন্য কেবলামুখী হওয়া ফরজ। বিমান কিংবা জাহাজে কিবলামুখী হয়ে স্থির থাকাও সহজ নয়। তাই বিমানে কিংবা জাহাজে নামাজ পড়ার হুকুম কী? কিংবা এগুলোতে নামাজ পড়ার উপায়ই বা কী?

বিজ্ঞাপন

মনে রাখা জরুরি
সব নামাজের জন্যই কেবলামুখী হওয়া ফরজ। সফর অবস্থায় কেবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া সম্ভব না হলেও নামাজ পড়ে নিতে হবে। তবে এ নামাজ সফরের পরে কেবলামুখী হয়ে পুনরায় আদায় করতে হবে।

বিমান কিংবা জাহাজে সফর (ভ্রমণ) করার সময়ও নামাজ পড়া বৈধ। তখনও কেবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। কেবলামুখী অবস্থায় পুরো নামাজ আদায় করতে না পারলে বিমানে কিংবা জাহাজে নামাজ আদায় করার ফলে মুসল্লি কাজা আদায়ের হুকুম থেকে মুক্ত হবে। তবে সফর শেষে সে নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবে বলে ফতোয়ায়ে শামি ও আলমগীরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নামাজের ব্যাপারে মূল কথা হলো-
মানুষ যখন যে অবস্থায় থাকুক, নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা আদায় করে নেবে। আর তাতে কেবলা চিহ্নিত করতে না পারলেও ওই সময় নির্ধারিত নামাজ আদায় করবে। পরে কেবলা চিহ্নিত করতে পারলে সে নামাজ পুনরায় পড়ে নেবে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।