বাথরুমে অজু করার সময় দোয়া পড়া যাবে?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

 

অজুর আগে ও পরে বেশ কিছু দোয়া আছে যেগুলোর ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে অজু শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ সুন্নত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহ’ পড়ে অজু করলে যতক্ষণ অজু থাকবে, ফেরেশতাগণ তার নামে সাওয়াব লিখতে থাকবেন, যদিও সে কোন মুবাহ কাজে লিপ্ত থাকে। (তাবরানি)

আমাদের দেশে শহরাঞ্চলের বাড়িগুলোতে গোসলখানা ছাড়া অজু করার তেমন জায়গা থাকে না। আর গোসলখানার সাথে টয়লেট সংযুক্ত থাকে। এ কারণে অজু করার সময় অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বা অজুর অন্যান্য দোয়া পড়া নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। যেহেতু টয়লেটে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, জিকির করা বা দোয়া পড়া অপছন্দনীয় এবং আল্লাহর মর্যাদা পরিপন্থী।

এ ব্যাপারে আলেমদের বক্তব্য হলো, টয়লেট সংযুক্ত গোসলখানা যদি দুর্গন্ধমুক্ত হয়, গোসলখানার মেঝে ও দেয়াল পবিত্র হয়, কমোড যথাযথভাবে পরিস্কার করা থাকে বা ঢাকনা দেয়া থাকে, তাহলে গোসলখানায় অজু করা, অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহসহ অন্যান্য দোয়া পড়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় হবে না। 

গোসলখানার অবস্থা এর বিপরীত হলে অর্থাৎ গোসলখানা দুর্গন্ধযুক্ত হলে বা যথাযথভাবে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন না হলে অন্য কোনো জায়গায় অজু করা উচিত। বিকল্প জায়গার অভাবে এ রকম গোসলখানায় অজু করতে বাধ্য হলে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা বা দোয়া করা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

ওএফএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।