মাসিক অবস্থায় জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা যাবে কি?
![মাসিক অবস্থায় জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা যাবে কি?](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/habib-20240524115857.jpg)
মাসিক বা ঋতুস্রাবের সময় অবস্থায় নামাজ-রোজা ইত্যাদি আমল যেমন বন্ধ রাখতে হয়, কোরআন তিলাওয়াতও বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় নারীদের জন্য কোরআন স্পর্শ করা ও তিলাওয়াত করা নাজায়েজ। কোরআন তিলাওয়াত শোনা জায়েজ। হাসান বসরি (রহ.) ও কাতাদা (রহ.) বলেন, ঋতুমতি নারী ও যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে কোরআনের কোনো অংশই পড়বে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ১৩০২)
তাই মাসিক অবস্থায় থাকলে জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা যাবে না। স্বাভাবিক অবস্থায় যে নারীরা প্রতি শুক্রবার সুরা কাহাফের আমল করেন, মাসিক অবস্থায় থাকলে সুরা কাহাফ না পড়তে পারলেও তিনি সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সওয়াব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মাসিক অবস্থায় দোয়া-দরুদ, জিকির, তাসবিহ পড়া জায়েজ। কোরআনে উল্লিখিত দোয়াগুলোও পড়া জায়েজ।
সুরা কাহাফ তিলাওয়াত জুমার দিনের একটি বিশেষ আমল। জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে, তা তার জন্য পরবর্তী জুমা পর্যন্ত নুর হবে। (মুসতাদরাকে হাকেম)
ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তা তার জন্য তার পায়ের নিচ থেকে আকাশ পর্যন্ত নূর হয়ে চমকাতে থাকবে যা কেয়ামতের দিন তাকে আলো দেবে এবং তার দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (ইবনুল মুনজির ফিত-তারগীবি ওয়াত-তারহীব)
তাই সাধারণ অবস্থায় সবারই উচিত জুমার দিনের এ ফজিলতপূর্ণ আমলটি করা।
ওএফএফ/জিকেএস