সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত: ফজিলত, গুরুত্ব ও ব্যাখ্যা
মানুষের কল্যাণে কুরআ নাজিল করা হয়েছে। যা মুমিনের পথ প্রদর্শক এবং সকল সমস্যার সমাধানকারী। যার মধ্যে নিহিত রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান। মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে রয়েছে বিশেষ কিছু আয়াত। তন্মধ্যে সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতও বিদ্যমান। -
সুরা তাওবা শেষ দুই আয়াত বা সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত এর ফজিলত নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, এগুলো রক্ষা ও রহমতের আয়াত হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যখন কষ্ট, দুশ্চিন্তা বা বিপদের সম্মুখীন হওয়া হয়, তখন এই আয়াতগুলো পড়া ইসলামী শিক্ষায় উৎসাহিত করা হয়েছে।
এই আয়াত দুটি ছাড়াও সুরা তওবার শেষ তিন আয়াত নিয়েও ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। অনেকেই শেষ তিন আয়াত একসাথে পড়ার মাধ্যমে আত্মিক শান্তি ও নিরাপত্তার অনুভব করেন।
যারা (surah taubah last 2 ayat fazilat) বা সূরা তাওবার শেষ আয়াতের ফজিলত জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য নিচের অংশে বিশদভাবে ফজিলত, ব্যাখ্যা এবং আমলের উপকারিতা আয়াতদ্বয় ও তার ফজিলত তুলে ধরা হলো
উচ্চারণ : লাক্বাদ ঝা-আকুম রাসু-লুম মিন আংফুসিকুম আযিযুন আলাইহি মা- আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিলমু’মিনি-না রাউ’-ফুর রাহি-ম। ফা ইং তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবিয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশিল আজি-মি। (সুরা তাওবা : আয়াত ১২৮-১২৯ )
>> হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি لَقَدْ جَاءكُمْ হতে رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ পর্যন্ত প্রত্যেকদিন একশত (১০০) বার পাঠ করবে, সে পার্থিব ও পরকালীন সকল বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাবে।
>> অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি এ দুই আয়াত পাঠ করে কোনো বিচারকের সামনে যাবে বিচারক তার প্রতি সহৃদয়তা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
>> অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি এ দু’ আয়াত দিনে কমপক্ষে দু’বার পাঠ করবে, সে দিন তার মৃত্যু হবে না।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা তাওবার শেষ দু আয়াতের ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস