হয় রেললাইন দুই নম্বর, না হয় ইঞ্জিন বা কোচ দুই নম্বর

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-খুলনা রেললাইন, সেখানে চলাচলরত ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। এজন্য তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ঢাকা-খুলনা রেলপথে চলাচলরত ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠে গতি পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান মাহবুব কবির মিলন।

মাহবুব কবির মিলন লেখেন, ‘রেল ঢাকা-খুলনা ১০০/১১০ কিমি গতি অনুমোদন দিয়ে টাইম বেঁধে দিয়েছে ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। যদিও লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। ফলে ট্রেন চলে ৫০-৬০ কিমি গড়ে। তারমানে হয় লাইন দুই নম্বর, না হয় ইঞ্জিন দুই নম্বর, না হয় কোচ দুই নম্বর। যদি তা না হয়, তবে সেকশনাল স্পিড বেঁধে দেওয়ার কথা নয় বা টাইম ফিক্সড করে দেওয়ার কথা নয়। ৬টি স্টেশনে থেমেও ৩ ঘণ্টার কম সর্বোচ্চ সময় লাগবে ঢাকা-খুলনা যাতায়াত করতে।’

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের উদ্দেশে মাহবুব কবির মিলন লেখেন, ‘রেল উপদেষ্টা মহোদয়, আপনি একদিন ইঞ্জিনে উঠবেন। হাতে রাখবেন টাইম টেবিল বই। কয়টা এবং কোথায় স্পিড রেস্ট্রিকশন আছে (যদি থাকে) সেই কাগজ সাথে রাখবেন। এবার টাইম টেবিলে দেওয়া গতি আর স্পিড রেস্ট্রিকশন দেখে লোকো মাস্টারকে বলবেন চালাতে। চোখ রাখবেন ইঞ্জিনের স্পিড মিটারের দিকে, যাতে টাইম টেবিল অনুযায়ী গতি ঠিক থাকে। আর দেখবেন ৬ স্টেশনের স্টপেজের বেশি আগে এবং পরে যেন লোকো মাস্টার গতি বেশি স্লো না রাখে (ইন অ্যান্ড আউট স্বাভাবিক)।

আরও পড়ুন
পদ্মা সেতু হয়ে সোয়া ৪ ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকায় এলো ট্রেন
৩ ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়ার সুবিধা পেতে আরও অপেক্ষা

কাজটা হঠাৎ করবেন, যেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কোন ম্যানিউপুলেশনের সুযোগ না পায়। পথে কোথাও স্পিড রেস্ট্রিকশন থাকলে সেটা যাচাই করে নেবেন প্লিজ।

নিজেই যাচাই করুন তো প্লিজ, ঢাকা খুলনা ৬ স্টেশন থেকে কত সময় লাগে!! দুই ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট সর্বোচ্চ লাগবে। অথচ এখন সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টার কাছাকাছি। এইভাবে অন্য রুটেও করতে পারেন।’

‘বাসে ঢাকা-খুলনা কতক্ষণ লাগে’ প্রশ্ন তুলে মাহবুব কবির মিলন লেখেন, ‘অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে লাইন নির্মাণ করা হয়েছে ১২০ কিমি'র। ইঞ্জিন এবং কোচ কেনা হয়েছে ১২০ কিমি গতির। চালানো হয় ৬০ কিমি'তে।’

উপদেষ্টা হলে তিনি কী করতেন জানিয়ে মাহবুব কবির মিলন লেখেন, ‘আমি উপদেষ্টা হলে চেয়ারে বসার তিন দিনের মাথায় ইঞ্জিনে উঠে এই পরীক্ষা করতাম। সপ্তাহে একটা জার্নি করতাম ট্রেনে বিভিন্ন রুটে। মাসে কমপক্ষে দুইদিন লাইনের পাথর নিজের হাতে বেলচা দিয়ে তুলে পরীক্ষা করতাম।

ভাবছি একটা ফিচার লিখব, আমি রেল উপদেষ্টা হলে কী করতাম। যদি আপনাদের কাজে লাগে। যদিও সময় বেশি নেই হাতে।’

এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।