হানিমুন করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আটকা ইংলিশ ক্রিকেটার
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে বেশিরভাগ দেশেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্ত, বাতিল করা হয়েছে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এর ব্যতিক্রম নয় অস্ট্রেলিয়াও।
কিন্তু এ সিদ্ধান্তের কারণে অসহায় অবস্থায় পড়ে গেছেন ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য লরেন উইনফিল্ড এবং অ্যামি জোনস। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুজনই আটকা পড়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়াতে। দেশে ফেরার কোনো পথই খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
এদের মধ্যে উইনফিল্ডের অবস্থাটা একটু অন্যরকমই বলতে হবে। কারণ তিনি দীর্ঘদিনের প্রেমিক কোর্টনি হিলকে বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়ার হ্যামিল্টন আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন হানিমুন সারতে। কিন্তু এরই মাঝে করোনা হামলে পড়ায় হানিমুন শেষে বিপাকেই পড়তে হলো উইনফিল্ডকে।
অন্যদিকে ব্যক্তিগত কারণেই পার্থে ছিলেন অ্যামি জোনস। গত সপ্তাহেই দুজনের দেশে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এখন নিরুপায় হয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকতে হচ্ছে এ দুই ক্রিকেটারকে। তবে দুজনই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, দেশে ফিরলে একসঙ্গেই ফিরবেন।
এ বিষয়ে উইনফিল্ড বলেছেন, ‘শুক্রবার দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমার ফ্লাইট বাতিল করে দেয়া হয়েছে। দুবাই হয়ে যাওয়া এমিরেটসের আগামী দুই সপ্তাহের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ তারা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবে। কিন্তু গুঞ্জন শুনছি আগামী ২-৩ মাসেও ফ্লাইট চালু হবে না।’
উইনফিল্ড কখনও ভাবেননি এমন অবস্থায় পড়তে হবে দেশের বাইরে গিয়ে। মনেপ্রাণে দোয়া করছেন পরবর্তী ফ্লাইট যেন বাতিল না হয়। দেশে ফেরার জন্য তার পরের বিমানের সূচি ৮ এপ্রিল জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আপাতত আগামী ৮ এপ্রিল আমার একটা ফ্লাইট রয়েছে। তবে সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে সেই ফ্লাইটও পিছিয়ে যাবে। এটা সত্যিই অনেক কঠিন সময়। আমার মনে হচ্ছে, ক্যারিয়ারের পুরো একটি বছর নষ্ট হতে যাচ্ছে।’
এসএএস/জেআইএম