পেসারদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো কুকাবুরা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ০৫ মে ২০২০

করোভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বদলে যাবে মানুষের অনেক অভ্যাস, নতুন করে দেখা যাবে বেশ কিছু নিয়ম- এমন কথা বলাবলি অনেকদিন ধরেই। সত্যিই তাই! বিশেষ করে হাত মেলানো, বুকে জড়িয়ে ধরার মতো স্বাভাবিক রীতি কিংবা যেখানে-সেখানে থুথু ফেলার মতো বদ অভ্যাস- সবই হয়তো কমে যাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি।

এর প্রভাব পড়তে পারে ক্রীড়াঙ্গনেও। এরই মধ্যে ফিফায় আলোচনা চলছে, ফুটবল মাঠে থুথু ফেললেই দেখতে হবে হলুদ কার্ড। একই কথা চলছে ক্রিকেটেও। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বল উজ্জ্বল করতে আগে যে থুথু বা লালার ব্যবহার হতো- তা নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে।

কিন্তু এটি করা হলে বোলাররা পড়বেন বিপদে, ক্রিকেট হয়ে যাবে আরও ব্যাটসম্যানবান্ধব খেলা। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার জন্য বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা বা বাড়ানোর বিকল্প নেই। অথচ এটিই যদি বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে কি বল উজ্জ্বল করতে পারবেন না পেসাররা?

এ আলোচনাই এখন ক্রিকেট বিশ্বের হটটপিক। এরই মাঝে পেসারদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো অস্ট্রেলিয়ার খেলাধুলার সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কুকাবুরা। তারা ঘাম বা লালার বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য বানাচ্ছে ওয়াক্স এপ্লিকেটর।

তাদের প্রস্তাবিত এ ওয়াক্স এপ্লিকেটর হবে মূলত পকেট সাইজের স্পঞ্জসদৃশ একটি বস্তু। যা বলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ঘষামাজার কাজে ব্যবহৃত হবে। ঘাম বা লালার মতোই কাজ করবে এই ওয়াক্স এপ্লিকেটর। তবে এতে ক্রিকেট বলের মান নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে কুকাবুরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকা ব্রেট এলিয়ট বলেছেন, ‘যেহেতু ক্রিকেটে লালা বা ঘামের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবা হচ্ছে, আমরা মনে করি আমাদের এই ওয়াক্স এপ্লিকেটর একটা সমাধান হতে পারে। এটি এখনই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এর জোগান দিতে পারব। বড় জোর আর এক মাস লাগতে পারে। তবে যেহেতু খেলাধুলা বন্ধ, তাই ম্যাচ কন্ডিশনে পরীক্ষা করার সুযোগ নেই আমাদের সামনে। তবে কিছু ট্রায়াল দিয়েই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে এটি।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।