ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু মন্দিরে খাবার বিতরণ করলেন আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৩ মে ২০২০

মানব সেবা কোনো ধর্ম-বর্ণ মানে না, মানে না কোনো জাত-পাত। মানবিকেরা সব সময়ই দাঁড়িয়ে যান অসহায় মানুষের পাশে। তার প্রমাণ আবারও দেখালেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি।

করোনা মহমারিতে নিঃস্ব হয়ে গেছে পাকিস্তানের অনেক মানুষ। সেখানে যেমন মুসলিম আছেন, তেমনি হিন্দুরাও আছেন। এ কারণেই মূলতঃ হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে অসহায়-অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন আফ্রিদি। সম্প্রতি হিন্দু মন্দিরে গিয়ে খাবার বিতরণ করেন তিনি। এ কাজে আফ্রিদিকে এখন কুর্নিশ জানাচ্ছে নেট দুনিয়া।

করোনা মোকাবিলায় সারা বিশ্বের মত পাকিস্তানেও চলছে লকডাউন। যার কারণে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জোগান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দুস্থ-অসহায় মানুষগুলো। এমন দুর্দিনে তারা যাতে অভুক্ত না থাকেন, এ জন্য অনেকদিন আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন বুমবুম আফ্রিদি এবং তার সংগঠন (আফ্রিদি ফাউন্ডেশন)।

Afridi

পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে আফ্রিদি ফাউন্ডেশন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে আফ্রিদিকে। তার সমাজসেবামূলক কাজের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় তারকা যুবরাজ সিং এবং হরভজন সিংরাও। এবার হিন্দু মন্দিরে খাবার বিতরণ করে নতুন করে নেটদুনিয়ার প্রশংসা কুড়ালেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্রিকেটার।

হিন্দু মন্দিরে খাবার বিতরণ করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আফ্রিদি লেখেন, ‘আমরা একসঙ্গে সংকটে পড়েছি। তাই ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়তে হবে। একতাই আমাদের শক্তি। খাবার দিতে শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলাম।’ পাকিস্তানের স্কোয়াশ তারকা জাহাঙ্গির খানকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

এই মহৎ কাজে যে সমস্ত খাবারের ব্র্যান্ড তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন আফ্রিদি। এখনও পর্যন্ত ২২ হাজার পরিবারের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে পেরে খুশি তিনি। তবে এখানেই ইতি নয়। এখনও অনেক কাজ বাকি। এ কারণে তার এই সমাজসেবা চলবে। পাকিস্তানের আরও শহর ও গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন তাকে পাশে পেয়ে।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।