জাপান চায় অলিম্পিক হোক, তবে...
সব ঠিক থাকলে আর ১০ দিন পর এমনিতেই শুরু হয়ে যেতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক গেমস। এই একটি গেমস আয়োজনের জন্য কত হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে জাপান। টোকিওকে গড়ে তুলেছে তিলোত্তোমা নগরী হিসেবে। প্রস্তুতির সব ধাপ যখন শেষ করে এনেছিল তারা, তখনই করোনা মহামারির ভয়াল থাবা। অলিম্পিককে পিছিয়ে দিয়েছে এক বছর।
আগামী বছর (২০২১ সালে) ঠিক একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের অলিম্পিক গেমন। তবে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হলেও অলিম্পিক গেমস আগামী বছরও আয়োজন করা সম্ভব হবে কি হবে না তা নিয়ে এখনও চলছে জ্বল্পনা-কল্পনা। কখনো বলা হচ্ছে, আগামী বছরও অলিম্পিক গেমস আয়োজন সম্ভব হবে না, আবার কখনও বলা হচ্ছে অনিশ্চিত।
মূলতঃ অলিম্পিক নিয়ে এখনও রয়েছে সন্দেহ-সংশয়। তবে, আয়োজক শহর টোকিও এবং আয়োজক কমিটির প্রধান চান, অলিম্পিক আযোজন করতে। টোকিও গভর্নর ইউরিকো কোইকে চান, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে আয়োজন করা হোক অলিম্পিক গেমস। আবার আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়াসুহিরো ইয়ামাশিতা জানিয়েছেন, হয়তো কলেবর ছোট করে আনা হবে। কিন্তু অলিম্পিক গেমস আয়োজন হবে।
টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে সবাই একসঙ্গে মানবতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এক জোট হয়ে দাঁড়াচ্ছে অলিম্পিকের মঞ্চে, এটাই হবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আর তাই আমরা অলিম্পিক আয়োজন করতে চাই।’
আগামী বছর কখন অলিম্পিক হবে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন কোইকে; কিন্তু দ্বিতীয়বার টোকিওর গর্ভনর হয়ে আশা ছাড়ছেন না তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি কতটা ভালো? কতটা অলিম্পিক আয়োজন করার উপযোগী থাকবে আগামী বছর? প্রশ্ন থাকছেই।
জাপানের মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার হলেও তা সাধারণের কাছে সেভাবে সহজলভ্য হবে না। যে কারণে একটা ঝুঁকি থেকেই যাবে। এমনিতে জাপানে করোনা প্রভাব ততটা নেই; কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে কিছু নতুন সংক্রমণের খবর এসেছে। যা কিছুটা হলেও সাবধানি করে তুলেছে জাপানকে।
জাপান অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়ামাশিতা বলেন, ‘অলিম্পিক গেমস সাধারণত হয়ে থাকে গর্জিয়াস এবং খুবই আকর্ষণীয়। এটাই ছিল আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা। তবে, আমি নিশ্চিত নই, আগামী অলিম্পিকে এটা করা যাবে কি না। কারণ, আমাদের প্রথম এবং প্রধান প্রাধান্যের বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা।’
আইএইচএস/