আইপিএলে নতুন চমক হতে পারে ‘ঘরে বসে ধারাভাষ্য’
যেকোনো খেলায় এখন মাঠের প্রদর্শনীকে আরও আকর্ষণীয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে ধারাভাষ্যের বিকল্প নেই। মাঠ থেকে সরাসরি খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা নানান ভঙ্গিমায় টিভিতে দেখা দর্শকদের কাছে প্রকাশ করেন ধারাভাষ্যকাররা। যা মাঠের খেলাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন এই ধারাভাষ্যও পড়েছে চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষ করে যেসব খেলা বা টুর্নামেন্টে বিদেশি ধারাভাষ্যকার থাকে, তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে পড়েছেন বিপাকে। আর এ কারণেই আসন্ন আইপিএলে থাকতে পারে ‘ঘরে বসে ধারাভাষ্য’ দেয়ার সুযোগ।
এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন দলের সলিডারিটি কাপে ‘ঘরে বসে ধারাভাষ্য’ দেয়ার নজির গড়েছে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। টুর্নামেন্টের ব্রডকাস্টিং পার্টনার ছিল স্টার স্পোর্টস। তাদের ধারাভাষ্য প্যানেলের প্রায় সবাই ভারতীয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় ভারত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ধারাভাষ্য দেয়া সম্ভব ছিল না।
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ঘরে বসে ধারাভাষ্য দিয়েছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকাররা। বারোডা থেকে ইরফান পাঠান, কলকাতা থেকে দীপ দাশগুপ্ত এবং মুম্বাই থেকে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার দিয়েছেন এই ‘ভার্চুয়াল কমেন্ট্রি’। এছাড়াও স্টার স্পোর্টসের পরিচালক মাইসোরে নিজের বাড়িতে বসেই নিয়ন্ত্রণ করেছেন কমেন্ট্রি প্যানেল।
সলিডারিটি কাপে ‘ঘরে বসে ধারাভাষ্য’ সফলভাবেই পরিচালিত হওয়ায় এবার আইপিএলেও দেখা যেতে পারে এটি। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হতে পারে এবারের আইপিএল। ততদিনে সবদেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে- এমনটা আশা করা খানিক বাড়াবাড়িই হবে। এছাড়া আইপিএল হবে আরব আমিরাতে। ফলে ভারতীয় ধারাভাষ্যকারদেরও ঘরে বসে ধারাভাষ্য দেয়াটাই হবে ভালো একটি সমাধান।
এরই মধ্যে ঘরে বসে ধারাভাষ্য দেয়ার অভিজ্ঞতা পাওয়া ইরফান পাঠানও মনে করেন, আইপিএলেও যদি এমনটা করা যেতে পারে। স্টার নেটওয়ার্ক এক্ষেত্রে প্রস্তুত আছে জানিয়ে ইরফান বলেছেন, ‘এটা অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিলো। যদিও ইন্টারনেট স্পিডজনিত কারণে খানিক চিন্তায় ছিলাম। প্রযুক্তি যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে লাইভ ম্যাচে যেকোন কিছুই হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে স্টার সত্যিই দারুণ কাজ করেছে।’
হিন্দুস্থান টাইমসকে দেয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটা (সলিডারিটি) একটা প্রীতি ম্যাচ ছিল। তবে সবাই বেশ গুরুত্ব দিয়েই করেছে সবকিছু। কেননা বিরতির পর এটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। স্টার সবসময় নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপর থাকে। তবে আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে ঘরে বসে ধারাভাষ্য দেয়াটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’
এসএএস/পিআর