‘সিজার ভাই ছিলেন কেতাদুরস্ত উইলোবাজ’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:১৩ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২১

ক্রিকেটাঙ্গনে তার সমসাময়িকদের মধ্যে এখনও বেঁচে আছেন লুৎফর রহমান মাখন। সাবেক ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক।

তিনি সদ্য প্রয়াত সাবেক বিসিবি সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার কমোডর মুজিবর রহমান সিজারের চেয়ে বছর দুয়েকের বড়।

সেই লুৎফর রহমান মাখনের সাথে আলাপ করেই জালাল আহমেদ চৌধুরী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘প্রয়াত সিজার ভাইয়ের বয়স হয়েছিল ৮৪-৮৫ বছর।’

জাতীয় দলের সাবেক প্রশিক্ষক, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, বরেণ্য ক্রিকেট লিখিয়ে ও নামি সাংবাদিক জালাল আহমেদ চৌধুরী প্রয়াত কমোডর মুজিবর রহমান সিজারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে জাগো নিউজকে জানান, ‘ব্যক্তি ও পারিবারিকভাবে সিজার ভাই ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সহসভাপতি মরহুম মাজহারুল ইসলাম দামাল ভাইয়ের আপন ভাগ্নে।’

‘তারা ছিলেন ক্রীড়া পরিবার। তাদের পরিবারের সদস্যদের দিয়েই গঠিত হয়েছিল ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের দল ‘জিমখানা’। মাজহারুল ইসলাম দামাল ভাই ছিলেন সেই দলের চেয়ারম্যান। যেটা পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান জিমখানা নামে পরিচিত ছিল আর স্বাধীনতার পর নামকরণ হয় বাংলাদেশ জিমখানা।’

‘সেই ক্লাবের হয়ে একদম ৫০ দশকের শুরুতে, হয়তো ৫২-৫৩ ‘তে খেলা শুরু করেছিলেন সিজার ভাই। খুব বেশিদিন খেলতে পারেননি। পাকিস্তান নৌবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে যোগ দেয়ায় মধ্য পঞ্চাশের মাঝামাঝি সময়েই খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। ’

জালাল আহমেদ চৌধুরীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত হন কমোডর মুজিবর রহমান। প্রথমে প্রধান নির্বাচক, জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮২ সালের দিকে বিসিবি সভাপতিও মনোনীত হন।ক্রিকেটার মুজিবর রহমান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জালাল আহমেদ চৌধুরীর ভাষ্য, ‘সিজার ভাই এলিগেন্ট ব্যাটসম্যান ছিলেন। খেলতেন মিডল অর্ডারে। পোশাক আশাক, চলাফেরা ও কথাবার্তায় খুবই কেতাদুরস্ত ছিলেন। আমি ৭১‘র পর সিজার ভাইয়ের সান্নিধ্য পেয়েছি।’

জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই জেনেছেন, কমোডর মুজিবর রহমানই প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৭৯ সালে আইসিসি ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে নৌবাহিনী সদর দফতরে জাতীয় ক্রিকেট দলের আবাসিক অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

বলে রাখা ভালো, জালাল আহমেদ চৌধুরী আইসিসি ট্রফির জন্য প্রস্তুতি নেয়া দলের অন্যতম প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি যে ওই আইসিসি ট্রফি দলের অন্যতম কোচ হিসেবে কাজ করেছেন আত্মপ্রচারবিমুখ জালাল আহমেদচৌধুরী একবারের জন্য মুখে আনেননি। তবে সেটাই প্রকৃত সত্য।

কাজেই কমোডর মুুজিবকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার। সে আলোকে জালাল বলেন, ‘সিজার ভাই ছিলেন দারুণ অ্যাডমিনেস্ট্রেটর। একজন সত্যিকার প্রশাসক। নিয়মনীতি মেনে চলা মানুষ। মাঠ ও মাঠের বাইরে শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলাফেরা খুব পছন্দ করতেন। পাশাপাশি ছিলেন একজন দারুণ মোটিভেটর। ক্রিকেটারদের ভালো পারফরম করায় অনুপ্রেরণা জোগাতেও তার জুড়ি মেলা ভার ছিল।’

এআরবি/এমএমআর/এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।