পুরানের ঝড় সামলে হায়দরাবাদের জায়গা নিলো দিল্লি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ এএম, ০৬ মে ২০২২
সহজেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মাঝে আশা দেখান এইডেন মারক্রাম ও নিকোলাস পুরান। তবে পুরানের ঝড় সামলে শেষ পর্যন্ত সহজেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস। একইসঙ্গে হায়দরাবাদের পঞ্চম স্থানও দখল করেছে তারা।

মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করেছিল দিল্লি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করতে পেরেছে হায়দরাবাদ। যার সুবাদে ২১ রানের জয় পেয়েছে দিল্লি। হায়দরাবাদের এটি টানা তৃতীয় পরাজয়।

এ নিয়ে দুই দলেরই এখন সমান দশ ম্যাচে পাঁচটি করে জয়-পরাজয়ে পয়েন্ট হলো সমান দশ। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় দিল্লি ক্যাপিট্যালস উঠে গেছে পাঁচ নম্বরে, এক ধাপ নেমে এখন ছয়ে অবস্থান করছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।

২০৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৩৭ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে হায়দরাবাদ। সাজঘরে ফিরে যান অভিষেক শর্মা (৭ বলে ৬), কেইন উইলিয়ামসন (১১ বলে ৪) ও রাহুল ত্রিপাঠি (১৮ বলে ২২)।

jagonews24

চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৫.৫ ওভারে ৬০ রানের জুটি গড়েন মারক্রাম ও পুরান। মারক্রাম সাজঘরে ফিরে যান ২৫ বলে ৪২ রান করে। এরপর হায়দরাবাদের আশার পালে হাওয়া দেন পুরান। ঝড়ো ব্যাটে তুলে নেন ফিফটি। তবে তিনিও আউট হয়ে যান ৩৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে।

এরপর আর বেশি দূর যেতে পারেনি হায়দরাবাদ। তাদের ইনিংস থেমে যায় ১৮৬ রানে। দিল্লির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন খলিল আহমেদ। শার্দুল ঠাকুরের শিকার দুই উইকেট। অন্য তিন বোলার এনরিচ নর্টজে, মিচেল মার্শ ও কুলদিপ যাদব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে আজ মোস্তাফিজুর রহমানসহ চার খেলোয়াড়কে একাদশ থেকে বাদ দিয়ে খেলতে নেমেছে দিল্লি। যার প্রভাব ব্যাটিংয়ে তেমন দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যারিবীয় হিটার রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছে তারা।

হায়দরাবাদের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না দিল্লির। ইনিংসের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান ডানহাতি ওপেনার মানদিপ সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৩.৩ ওভারে ৩৭ রান যোগ করেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার।

যেখানে মার্শের অবদান ছিল মাত্র ১০ রান। এরপর অধিনায়ক রিশাভ পান্তের সঙ্গে মাত্র ৪.৪ ওভারে ৪৮ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। শ্রেয়াস গোপালের করা নবম ওভারে পরপর চার বলে তিন ছয় ও এক চার মেরে আউট হন পান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৬ রান।

jagonews24

অধিনায়কের বিদায়ের পর দলকে বড় সংগ্রহ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দুই বিদেশি রিক্রুট রভম্যান ও ওয়ার্নার। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ দুজন মিলে মাত্র ১১ ওভারে যোগ করেছেন ১২২ রান। যা দিল্লিকে নিয়ে গেছে ২০৭ রানে।

শুরুতে ঝড় তোলা ওয়ার্নার শেষ দিকে শুধু চেয়ে দেখেছেন রভম্যানের তাণ্ডব। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়ার্নার। তবে তাকে ননস্ট্রাইকে রেখে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ক্যারিবীয় রভম্যান।

শেষ পর্যন্ত ১২ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ওয়ার্নার। অন্যদিকে ৩ চার ও ৬টি বিশাল ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৬৭ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেলেছেন রভম্যান। যার সুবাদে শেষ ৪ ওভারে ৬০ রান পায় দিল্লি।

এসএএস/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।