তীরে এসে তরী ডুবলো মুম্বাইয়ের, আশা বেঁচে রইলো হায়দরাবাদের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৬ এএম, ১৮ মে ২০২২

ধুন্দুমার লড়াই হলো। জয়-পরাজয়ের পাল্লা ধুলছিল পেন্ডুলামের মত। শেষ পর্যন্ত জয়ের একেবারে কাছে গিয়ে হারতে হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। আর রোহিত শর্মাদের মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার সূক্ষ আশা বেঁচে রইলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।

১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮তম ওভারে টিম ডেভিড যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল মুম্বাইয়ের জয়টা বেশ সহজেই চলে আসবে সম্ভবত। কিন্তু ভাগ্য ভালো হায়দরাবাদের। ৬ ছক্কা মারার পর ওভারের শেষ বলে এসে রানআউটের শিকার হলেন ডেভিড। তাতেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। শেষ ১৯টি রান আর নিতে পারেনি মুম্বাইর বাকি চার ব্যাটার। মুম্বাই থেমে যায় ১৯০ রানে।

এই জয়ে প্লে অফে খেলার আশা টিকে থাকলো হায়দরাবাদের। ১৩ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১২। শেষ ম্যাচে যদি পাঞ্জাব কিংসকে বড় কোনো ব্যবধানে হারাতে পারে এবং রানরেট বাড়িয়ে নিতে পারে, তাহলে হয়তো কোনোভাবে চতুর্থ স্থানে উঠে আসতেও পারে তারা।

যদিও সে সম্ভাবনা খুব কম। কারণ হায়দরাবাদের রান রেট -০.২৩০। অন্যদিকে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের রানরেট ০.২৫৫। যেভানে দিল্লি ধনাত্মক, সেখানে হায়দরাবাদের ঋণাত্মক। তারওপর দিল্লিরও একটি ম্যাচ বাকি আছে। সুতরাং, শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদ কত বড় ব্যবধানে জিততে পারলে সম্ভব হবে সেরা চারে থাকা? সেটা বলা অসম্ভব। আবার শেষ ম্যাচে দিল্লি জিতে গেলে তো কথাই নেই।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৯৩ রান করে হায়দরাবাদ। দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন রাহুল ত্রিপাঠি। এরপর বল হাতে রোহিত শর্মাদের আটকে রাখেন হায়দরাবাদের বোলাররা। আগুনে গতিতে নজর কাড়লেন উমরান মালিক।

টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত। এই ম্যাচে উইলিয়ামসন ওপেন করতে নামেননি। পরিবর্তে তিনি পাঠান এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তরুণ প্রিয়ম গর্গকে।

সে সিদ্ধান্ত কাজে দেয়। অভিষেক শর্মা তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও ত্রিপাঠির সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রিয়ম। দুজনে মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। প্রতি ওভারেই বড় শট খেলছিলেন তারা। দুজনের মধ্যে ৭৮ রানের জুটি তৈরি হয়। ২৬ বলে ৪২ রান করে আউট হন প্রিয়ম।

অন্যদিকে এ বারের আইপিএলে নিজের ফর্ম বজায় রাখেন ত্রিপাঠি। আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। সঙ্গে ভাল খেলছিলেন নিকোলাস পুরানও। দেখে মনে হচ্ছিল ২১০-২২০ রান হবে। কিন্তু পর পর দু’ওভারে পুরান, ত্রিপাঠি ও এইডেন মাক্ররাম আউট হয়ে যান। পুরান করেন ২২। ত্রিপাঠিকে ৭৬ রানে ফেরান রমনদিপ সিং। পরপর উইকেট পড়ায় শেষ দিকে রানের গতি কিছুটা কমে যায়। ফলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করে হায়দরাবাদ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ঈশান কিশন। এবারের আইপিএলে প্রথমবার ওপেনিং জুটিতে বড় রান এল মুম্বাইয়ের। হায়দরাবাদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ভাল খেলছিলেন তারা। ৯৫ রানের জুটি বাঁধেন দুজনে।

১১তম ওভারে ৪৮ রানের মাথায় বড় শট খেলতে গিয়ে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন রোহিত। পরের ওভারেই উমরান মালিকের বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ঈশান। পরপর দুই উইকেট পড়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় মুম্বাই। রান পাননি ছন্দে থাকা তিলক ভার্মাও।

পরপর উইকেট পড়ায় রানের গতি কিছুটা কমে যায়। এক দিকে লড়াই করছিলেন টিম ডেভিড। বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন তিনি। তবে যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ আশা ছিল মুম্বাইয়ের। এক ওভারে নটরাজনকে চারটি ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু সেই ওভারেই ১৮ বলে ৪৬ রান করে রানআউট হয়ে যান ডেভিড। তার সঙ্গেই জেতার আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের।

আইএইচএস/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।