হাথুরুর মনে হয় জাদুর কাঠি আছে, নাহলে এভাবে আনা কেন: সালাউদ্দীন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩৮ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাসেল ডোমিঙ্গো থাকতেই শ্রীধরন শ্রীরাম টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি কাজও করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছিল, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করবেন শ্রীরাম। কিন্তু সে সম্ভাবনা খুব কম। কারণ হাথুরুসিংহে টেস্ট, ওযানডে আর টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেরই কোচ।

তার সাথে সহকারী কোচ হিসেবে কাউকে দেখা যেতে পারে, তবে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে বাড়তি কারও থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কোটায়।

এদিকে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, তারা একজন প্রধান সহকারী কোচ নিয়োগের কথা ভাবছেন। স্থানীয় কোচদের মধ্য থেকেই কাউকে হাথুরুর সহকারি নিয়োগের চিন্তাভাবনা বিসিবির।

বিসিবি সভাপতির ওমন বক্তব্যর পর থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় কৌতুহলী প্রশ্ন-কে হবেন টাইগারদের প্রধান সহকারী কোচ? এ মুহূর্তে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকাদের মধ্য থেকে কেউ কি হবেন হাথুরুসিংহের ডেপুটি? খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, সোহেল ইসলাম কিংবা মিজানুর রহমান বাবুলের কাউকে কি বেছে নেবে বিসিবি?

দেশের অন্যতম সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনকে যদি প্রস্তাব দেওয়া হয়, তিনি কি তা গ্রহণ করবেন? আজ শনিবার সন্ধ্যায় জানা হলো, সালাউদ্দীন জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচের দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক নন। প্রস্তাব পেলেও তিনি তা গ্রহণ করবেন না।

আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সাথে খেলা শেষে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে কথা বলতে এসে ওই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমার মনে হয় বোর্ডের যারা এমপ্লয়ি (বেতনভুক্ত) কোচ আছে, তাদের থেকে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। তারা অনেক দিন ধরে বোর্ডে কাজ করছেন। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ কারণটাও ব্যাখ্যা করেন, ‘বোর্ডে যারা কোচ হিসেবে কাজ করছেন, তারা আসলে হাথুরুসিংহে সম্পর্কে জানেন। তারা হয়তো তাকে বেস্ট সার্ভটা করতে পারবেন। আমি আসলে ডেভেলপমেন্টের ছেলেদের চিনি না, এমনকি এইচপির ছেলেদেরও। আমার একটা জায়গায় কাজ করতে হলে সব নলেজ লাগবে এবং সেই কোচটা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।’

সালাউদ্দীন যোগ করেন, ‘হাথুরুসিংহের মানসিকতা কেমন, সে কেমন কোচ তা আমি জানি না। আমি যার সাথে কাজ করব, তার ব্যাপারে আমার জানা দরকার। কারণ আমার এখন যে বয়স, নিজে থেকে এডজাস্ট করার মেন্টালিটি আমারও আছে কি না, আমি জানি না। কারণ গত ৫-১০ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে আমি নিজেই কাজ করছি। এখন সহকারী কোচের রোলটা আমি পারব কি না, আমার সেই সার্বিক ক্ষমতা আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। কারণ সহকারী কোচদের কাজ অনেক বেশি।’

কোচ হিসেবে হাথুরু কেমন হবেন? তাকে ফিরিয়ে আনা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দীন একটু শ্লেষমাখানো সুরে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমরা যেভাবে হাথুরুসিংহেকে চেয়েছি, তার কাছে নিশ্চয়ই অনেক জাদুর কাঠি আছে। তা না হলে এভাবে আমরা তাকে নিতে চাচ্ছি কেন?’

‘কেউ একজন হঠাৎ করে চলে গেছে, তাকে আবার আমরা জোর করে আনছি। নিশ্চয়ই জাদুর কাঠি কিছু আছে। তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন, আমি জানি না। তবে নিশ্চয়ই সবাই আশা করে অনেক ভালো ফল হবে’-যোগ করেন সালাউদ্দীন।

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।