বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহকে দেখছেন না সুজন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

বর্তমান প্রজন্মের মুনিম শাহরিয়ার, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ তামিম, হাবিবুর রহমান সোহান প্রমুখের মতো আগের প্রজন্মেও খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যের সংখ্যা প্রচুর। এখন যার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন।

একটা সময় রিয়াদকে তার জ্যেষ্ঠ শিষ্য বলেই ভাবা হতো। ক্রিকেট পাড়ায় অনেকে রিয়াদকে সে নামেই ডাকেন। এখনও ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি মাস ছয়েকের মতো। তার প্রিয় শিষ্য কি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাবেন? তাকে দলে নেওয়া কি ঠিক হবে?

বয়স মধ্য তিরিশ পেরিয়ে ৩৭-এ এসে দাঁড়িয়েছে। শরীরের ক্ষিপ্রতা, চপলতাও কমে গেছে। ব্যাটিং ফর্মও আগের মতো নেই। অনেকটাই ফিকে, অনুজ্জ্বল। সব মিলিয়েই জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট রিয়াদকে আপাতত ওয়ানডে দল থেকেও বাইরে রেখেছেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ খেললেও (৩১, ৩২ ও ৮) সুবিধা করতে পারেননি। তাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিশ্রামের কথা বলে বাইরে রাখা হয় রিয়াদকে। একইভাবে আগামী মাসে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আইরিশদের সাথে যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে, সেই দলেও নেই রিয়াদ।

নির্বাচকরা মুখে বলছেন রিয়াদ বিশ্রামে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিশ্বকাপের চিন্তায় নেই রিয়াদ। আসলে কি তাই? তাকে কি আর বিবেচনায় আনা হবে না?

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮*), ২০১৭‘র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের সাথে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি (১০২*) এসব অতীত সাফল্য কি আর এখন বিবেচনায় আনা হবে? তার ২১৮ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কি শেষ পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হবে?

এসব জল্পনা-কল্পনা আছে রিয়াদভক্ত ও ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে। তবে রিয়াদের গুরু ও মেন্টর খালেদ মাহমুদ সুজন তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখছেন না আপাতত। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে রিয়াদ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘যদি আমি সত্যি বলি, রিয়াদকে আমি বিশ্বকাপে দেখছি না।’

কেন দেখছেন না? তার ব্যাখ্যায় সুজন বলেন, ‘যেহেতু ও জাতীয় দলে নেই, আমি যেভাবে দেখছি। কারণ, যদি তাকে বিশ্বকাপে দেখতাম, তাহলে এই সিরিজগুলোতে সে থাকতো।’

রিয়াদের সোনালি অতীতের প্রশংসা করে সুজন বলেন, ‘রিয়াদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অবশ্যই। বাংলাদেশ দলকে সে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে।’

রিয়াদ অনেক ম্যাচ একাই জিতিয়েছে। তা স্বীকার করে সুজন বলেন, ‘কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিটাই আসল। রিয়াদকে দলে কতটুকু দরকার বা ওর পরিবর্তে যারা খেলছে, তারা পারফর্ম করছে কি না। যদি পারফর্ম করে, তাদের পারফরম্যান্সে দল যদি সন্তুষ্ট থাকে; তাহলে রিয়াদের সুযোগ কম থাকবেই। যদি ওরকম না হয় তবেই কেবল রিয়াদের কথা ভাবা হবে। তার অভিজ্ঞতা তো আছেই। যেকোনো সময় ব্যাক করলে পারফর্মও করতে পারবে- সেটা আমরা সবাই বিশ্বাস করি।’

ওপরের কথা শুনে মনে হতে পারে, তাহলে বুঝি রিয়াদের বিশ্বকাপে খেলার কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না সুজন।

নাহ! তার শেষ কথা একটু ভিন্ন। সেখানে একদম শেষ বলতে নারাজ সুজন। তাই মুখে এমন কথা, ‘সময় তো আছে, একদমই রিয়াদ যে বের হয়ে গেছে তা নয়; কিন্তু আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ আনা ঠিক হবে না। তার আগেই ওকে এনে সিরিজ ও ম্যাচ দিতে হবে।’

সেই সাথে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে রিয়াদ কেমন করেন! তা দেখতেও মুখিয়ে সুজন। ‘সুপার লিগের ম্যাচগুলোতে রিয়াদ নিজেকে কীভাবে মেলে ধরে সেটাও দেখার বিষয়।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।