জাকের আলী-মোসাদ্দেকের ব্যাটে আবাহনীর সংগ্রহ ২৫৮
রাউন্ড রবিন লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে যিনি উপহার দিয়েছিলেন ঝোড়ো শতক (৮৬ বলে ১১৮), সেই নাইম শেখ ফিরে যান মাত্র ২ রানে। তাও ২০ বল খেলে। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের টপ স্কোরার নাইম শেখের পথেই হেঁটেছেন আবাহনীর আরেক ইনফর্ম ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও (১৪ বলে ১১)।
ওয়ান ডাউনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয় (২৩ বলে ১৯)। ১১ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল আবাহনীর রানটা তেমন বড় হবে না; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ধারণা ভুল প্রমাণ হলো। জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও খুশদিল শাহরা মিলে আবাহনীকে গড়ে দিলেন লড়াকু পুঁজি।
মোহামেডানের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে আকাশী হলুদ জার্সির দলের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮। উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক ও বাঁ-হাতি আফিফ হোসেন ধ্রুব চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রান জুড়ে আবাহনীকে শুরুর ধাক্কা সামলে দেন।
আফিফ ৪০ বলে ৩৬ রানে আউট হলেও জাকের আলী অনিক অনেক্ষণ একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন। তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
দুজনই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান। জাকের আলী অনিক ৮২ বলে ৬ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় করেন ৬৩ রান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক তুলনামূলক হাত খুলে খেলে আবাহনীকে এগিয়ে দেন। সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে মোসাদ্দেক খেলেন ৬৩ রানের সাবলীল ইনিংস।
এ ম্যাচের আগেরদিন ঢাকায় আসা পাকিস্তানের খুশদিল শাহ রান আউট হওয়ায় শেষ দিকে রানের গতি কমে যায় আবাহনীর। মোসাদ্দেকের সাথে ডাবলস নিতে গিয়ে ওয়াইড লং অন থেকে খালেদের থ্রো‘তে রান আউট হওয়ার আগে হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন খুশদিল। প্রথম ১৪ বলে ৭ রান করা এ পাকিস্তানী পরের ১১ বলে ২২ রান তোলেন ২ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে।
মোহামেডান বোলারদের মধ্যে দীর্ঘদেহী পেসার মুশফিক হাসান সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত ও সমীহ জাগানো বোলিং করে ১০ ওভারে ৩২ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। অফস্পিনার শুভাগত হোমের ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট (৪৭ রানে)। তবে ইংলিশ চায়নাম্যান জ্যাক লিনটটের পরিবর্তে আসা লঙ্কান কামিন্দু মেন্ডিস কিছুই করতে পারেননি। তার ডান ও বাঁহাতের স্পিন কোন কাজেই আসেনি। ৭ ওভারে ৪৮ রানে উইকেটশূন্য এ লঙ্কান স্পিনার।
রাউন্ড রবিন লিগে প্রথম উইকেটে ১৩৭ রান তুলেও ২৩৫ রানে থেমে ৬ উইকেটে হেরেছিল মোহামেডান। আজ সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে সাদা কালোদের টার্গেট ২৫৯ রান। ইমরুলের দল কি তা পারবে?
আবাহনী: ২৫৮/৭, ৫০ ওভার (বিজয় ১১, নাইম শেখ ২, মাহমুদুল হাসান জয় ১৯, জাকের আলী অনিক ৬৩, আফিফ ৩৬, মোসাদ্দেক ৬৩, খুশদিল শাহ ২৯, সাইফউদ্দীন ১৬*, নাহিদুল ৯*, অতিরিক্ত ১০; মুশফিক হাসান ২/৩২, শুভাগত হোম ২/৪৭, নাজমুল অপু ১/৬৩, খালেদ ১/৪৯)।
এআরবি/আইএইচএস