চ্যালেঞ্জ আর রোমাঞ্চ দুইরকম অনুভূতিই কাজ করছে শরিফুলের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ পিএম, ১১ মে ২০২৩

বাংলাদেশের পুঁজি খুব বড় ছিল না। জিততে আইরিশদের দরকার ছিল ২৪৭। অ্যান্ডি বালবির্নির দল সেই রান করতে পারতো? নাকি চেমসফোর্ডের একটু ভেজা আবহাওয়া কিছুটা কনকনে বাতাস আর সিমিং কন্ডিশনে বাংলাদেশের পেসারদের তোড়ে ভেঙে পড়তো আইরিশরা? উত্তরটা অমীমাংসিত।

তবে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসাররা বিশেষ করে বাঁহাতি শরিফুল ইসলাম ও ডানহাতি হাসান মাহমুদ যেভাবে গতির সঙ্গে দুর্দান্ত লাইন-লেন্থ আর উইকেট থেকে সুইং আদায় করে আইরিশ টপঅর্ডারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন, তাতে বাংলাদেশের পাল্লাই ছিল ভারি। আইরিশদের সম্ভাবনার আধার, ম্যাচ জেতানো ব্যাটার অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ পল স্টারলিংকে ফিরিয়ে ভাইটাল ব্রেক থ্রু আনেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল।

শুরুতে উইকেটের দু'দিকে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে দুটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কা হাঁকালেও শেষ পর্যন্ত বড় ইনিংস সাজানো সম্ভব হয়নি স্টারলিংয়ের। ১০ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। একবার পয়েন্টের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার ওপারে বল পাঠালেও শেষ পর্যন্ত ওই পয়েন্ট আর গালির আশপাশ দিয়ে বেপরোয়া শট খেলতে গিয়েই সাজঘরে পা বাড়ান এই ওপেনার।

বাঁহাতি শরিফুলের কৌণিক ডেলিভারি অফস্টাম্পের ঠিক বাইরে পড়ে আরও বেড়িয়ে যাওয়ার পথে ফ্ল্যাশ করতে গিয়ে গালিতে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন স্টারলিং।

অপর দিকে টাইগারদের ডানহাতি ফাস্টবোলার হাসান মাহমুদ আউটসুইং ও ইনসুইংয়ের মিশেলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন। তার আউটসুইংয়ে অফস্টাম্পের বাইরে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হন আইরিশ টপঅর্ডার ব্যাটাররা। পরে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে কিছুই বুঝতে না পেরে বোল্ড হন অ্যান্ডি বালবির্নি।

চেমসফোর্ডের এসেক্স মাঠের কন্ডিশনটা আসলে বাংলাদেশের ফাস্টবোলারদের জন্য কতটা সহায়ক ছিল? বাংলাদেশের পেসাররা কি ওই উইকেটে বল করাটা উপভোগ করেছেন? বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম নতুন বলে বোলিং করেছেন। তার কেমন লাগলো?

বাঁহাতি এই পেসারে কথা শুনে মনে হয়েছে, তারা ওই কন্ডিশনটা উপভোগ করেছেন। শরিফুল বলেন, ‘আসলে সব ফাস্টবোলারই চায় এরকম কন্ডিশনে খেলতে, বল করতে। আমাদের কাছে ভালোই লেগেছে বোলিং করতে।’

নতুন বলে আসলে কেমন সুবিধা পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে শরিফুলের জবাব, ‘গত ম্যাচে আমরা নতুন বলেই বোলিং করেছি। পুরোনো হওয়ার আগেই বৃষ্টি হয়েছিল। ভালোই সুইং পাওয়া যাচ্ছিল, এক্সট্রা বাউন্স ছিল, মুভমেন্ট ছিল ভালো।’

অনেকদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই নতুন বলে বোলিং করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন? শরিফুলের সন্তুষ্টিমাখা জবাব, ‘আসলে অনেকদিন পরে এসেছি। এটা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। মোস্তাফিজ ভাইকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, সব ফাস্টবোলারকে ঘুরিয়ে খেলার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এটা আমার জন্য ভালো একটা সুযোগ। যদি এখানে ভালো কিছু করতে পারি, আমার জন্য ভালো কিছু হবে।’

পেসারদের কাছে কোচদের বার্তা কী? শরিফুল জানান, ‘তারা (কোচরা) বলেছেন যে, মন খুলে খেলো। অনুশীলনে যেটা করেছ, সেটাই করো।ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।’

দলে ৬ জন বোলার, তাদের ব্যাটিংটা কতটা দরকার? শরিফুলের অনুভব, ‘সব দেশেই টেলএন্ডাররা এখন ভালো ব্যাটিং করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। তাসকিন ভাইকে দেখে দেখে আমরা প্রতিদিন নেটে অনুশীলন করছি। একটু হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। যদি আমরা ১০-১৫ রান করি, সেটা দলের জন্য সহায়ক হবে। সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।