‘কখন থামতে হবে, ক্রিকেটারদের জানা উচিত’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হোম অফ ক্রিকেটে আজ দেশের ক্রিকেট, জাতীয় দল, জাতীয় দল নির্বাচন নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি অভিজ্ঞ ও সিনিয়র অলরাউন্ডার এবং টি টোয়েন্টি দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

পাশাপাশি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অবসরের বাপারেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন এ সাবেক অধিনায়ক। প্রশ্নটা ছিল মূলত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসর নিয়ে। তার কি এখনই অবসরের প্রকৃত সময় কিনা?

এমন এক প্রশ্নের ব্যাখ্যায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন অনেক কথার ভিড়ে তার উত্তরসূরীদের একটি পরামর্শ দিয়েছেন। অবসর সম্পর্কে সুজনের মূল বার্তা হলো, একটা পর্যায়ে গিয়ে ক্রিকেটারদের বুঝতে হবে কখন কবে কোথায় থামতে হবে।?

সুজনের কথা, ‘আমি তো মাঠ থেকেই বিদায় দিয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি আমার সময় শেষ। ইয়াং স্টাররা এসেছে। আমি যদি না ছাড়ি তাহলে নতুন মুখরা কিভাবে আসবে এটাও একটা বড় কথা। তো এটা প্লেয়ারদের ডিসিশন নিতে হবে। কোনটা রাইট সময় টু সে ‘গুডবাই।’ .

সুজন কারন খুজে বেড়াচ্ছেন , কেন এখনকার ক্রিকেটাররা অবসরের ঘোষনা দিতে ইতস্তত ও বিলম্ব করেন । সুজন যোগ করেন , ‘আমরা খুব অল্প টাকায় খেলেছিলাম। ওইটা তখন আমাদের ভালোবাসা ছিল। প্রফেশন ছিল না। আমাদের ভালোবাসা ছিল ক্রিকেটের মধ্যে। আমরা ছাড়তে পেরেছি। আমি জানি না কেন আমাদের এই প্রজন্মের ছেলেরা এটা ছাড়তে চায় না, কেন ভয় পায়। তবে একটা সময় ছাড়তে হবে।’

তার পূর্বসুরী আকরাম খান ও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং সমসাময়িক হাবিবুল বাশারের উপমা টেনে সুজন বলে ওঠেন, আকরাম ভাই ছেড়েছেন। নান্নু ভাই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন , তিনিও ছেড়েছেন।

হাবিবুল বাশারকে এক সময়কার মিস্টার ফিফটি বলা হতো, বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনসি করেছে রান করেছে অনেক। সবাই ছেড়েছে। সত্যি কথা বলতে মাঠ থেকে ছাড়ার যেমন আমরা অনেক উদাহরণ দেই অন্য টিম করে।

আপনি কি বলেন স্টুয়ার্ড ব্রড এখনও ইংল্যান্ড টিমে খেলতে পারত না? ও ছাড়ল কেন? আমার কথা হচ্ছে এটাই ইউ হ্যাভ টু নো, হোয়েন ইউ ইউ হ্যাভ টু গিভ অ্যা ফুলস্টপ। এটা আপনাকে জানতে হবে। সুতরাং উইথ অল রেসপেক্ট ট্যু দ্য প্লেয়ার্স আমি মনে করি এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা কেউ ফোর্স করতে পারব না।’

‘এই তোমার রিটায়ার করার বয়স হয়েছে এই কথাটা বলার রাইট আমাদের কারো নাই। দে উইল থিংক অ্যাবাউট দেম। আসলে আমার রিটায়ার করা উচিত না আমার খেলা উচিত। যদি মনে করে না আমার আরও খেলা উচিত আমি আরও দুই তিন বছর খেলব- ফাইন এনাফ। তাহলে এটা যাবে না, আমাকে বাদ দিতে পারবে না। আপনি বাদ পড়তে পারেন, আপনার ফর্ম আপনার সবকিছু বিবেচনা করলে। আপনার জায়গায় অন্য ছেলেকে সুযোগ দিতে পারে। আসলে এইগুলা না অনেক ডিবেটের ব্যাপার আছে, বাট আমি একটু আগেও বলেছি আমি সব সময় বলি একটা সময় এক্সপেরিয়েন্সের মূল্য অবশ্যই অনেক বেশি।’

‘বাট এটাও অনেক ইম্পর্ট্যান্ট যে ফ্রেশ লেগস না আসলে একটা টিম বিল্ডআপের পজিশনে আমরা না গেলেও কিন্তু হবেও না। আপনি একটা সময় দেখেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই জায়গায় নিয়ে আসছে কিন্তু মাশরাফি, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ তামিম, মুশির অবদান অনেক। আমরা অকপটে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এরা তো সারাজীবন বাংলাদেশ টিমে খেলবে না। মাশরাফি খেলছে না বা মুশি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা ছেড়ে দিয়েছে। তামিম ছেড়ে দিয়েছে একটা ফরম্যাট। তো এইভাবে আমাদের আস্তে আস্তে সবাইকে গুটিয়ে আনতে হবে। ওরা গুটে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে তাহলে তো হবে না।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।