হিথ স্ট্রিকের অবস্থা দেখে আঁতকে উঠবেন আপনিও

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩

চেহারাটা হঠাৎ করে দেখলে হয়তো চিনতে কষ্ট হতে পারে। দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ভালোভাবে তাকাতেই আঁতকে ওঠার জোগাড়। এটাই কি হিথ স্ট্রিক? জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক, পেসার, বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ সেই হিথ স্ট্রিক? এত দ্রুত এতটা পরিবর্তন হয়ে গেছে!

জীর্ণ-শীর্ণ চেহারা, মুখের চামড়া কুঁচকে গেছে, হাত-পা সরু হয়ে গেছে। কোনো একটি বাড়ির বারান্দায় একটি সাদা চেয়ারে বসে রয়েছেন হিথ স্ট্রিক। একটি শর্টস পরা, গায়ে জড়ানো একটি পুলওভার। এক হাতে ধরা একটি মোবাইল। কষ্টের মাঝেও হাসার চেষ্টা করছিলেন। তবে সেটা ছিল করুন হাসি। তার পাশে বসে ছিলেন জিম্বাবুয়ের আরেক সাবেক ক্রিকেটার রেমন্ড প্রাইস।

মরণব্যাধি ক্যান্সার তারা শরীরে শিকড় গেঁড়েছে। অবস্থা এতটাই নাজুক যে, লিভারের সেই ক্যান্সার আর উপড়ানো হয়তো সম্ভব নয়। খুব দ্রুতই শরীরের অবস্থা খারাপ হয়েছে তার। এখন হয়তো মৃত্যুর প্রহরই গুনছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক।

বুধবার সকালেই তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। যদিও এরপর হিথ স্ট্রিক নিজেই বার্তা দেন, খবরটি ভুয়া। তিনি বেঁচে আছেন এবং তারই প্রমাণস্বরূপ ছবিটি তুলে পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

Heath Streak

হিথ স্ট্রিকের ভাইরাল হওয়া মৃত্যুর সংবাদটির উৎস ছিল একজনই। হেনরি ওলোঙ্গা। জিম্বাবুয়ের সাবেক এই বোলার হিথ স্ট্রিকের সতীর্থ ছিলেন। যদিও তিনি পরে ভুল বুঝতে পেরে তার নিজের প্রচারিত সংবাদ সরিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বাস করতে পারেননি আরেক সাবেক ক্রিকেটার রেমন্ড প্রাইস। তিনি চলে যান হিথ স্ট্রিকের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে ছবি তুলে জানান দেন, তার সাবেক সতীর্থ মৃত্যুবরণ করেননি, বেঁচে আছেন।

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হিথ স্ট্রিকের অবস্থা এখন চতুর্থ স্টেজে। তথা শেষ পর্যায়ে। এরপর হয়তো আর বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। যদিও হিথ স্ট্রিক দাবি করছেন, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সারাবিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও চাওয়া, হিথ স্ট্রিক এই লড়াই আপাতত জয় করে সবার মাঝে ফিরে আসুন।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।