বাংলাদেশের অস্বস্তিকর বিশ্বকাপ স্বপ্ন

দুলাল মাহমুদ
দুলাল মাহমুদ দুলাল মাহমুদ , সম্পাদক, ক্রীড়া জগত
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

ব্রিটিশ উপনিবেশ হওয়ার কারণে ক্রিকেটের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগসূত্র ঢের ঢের আগে। যত দূর জানা যায়, সিপাহি বিদ্রোহের সময় থেকে পূর্ব বাংলায় প্রচলন হয় অভিজাত ঘরানার এ খেলাটি। কথায় আছে, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। ব্রিটিশদের সংস্পর্শে বদলে যেতে থাকে বাংলা ও বাঙালির চিরায়ত জীবনধারা। ভালো-মন্দ মিলিয়ে ঔপনিবেশিক শাসকদের অনেক কিছুই রপ্ত করে নিতে বাধ্য হয় বাংলার মানুষকে। সেই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে ক্রিকেট খেলায়।

কিন্তু বাঙালির স্বভাব, বৈশিষ্ট্য ও জীবনচর্যার সঙ্গে এ খেলাটির একটা ব্যবধান রয়ে যায়। ফুটবল খেলার সঙ্গে যত দ্রুত সখ্য গড়ে ওঠে, ক্রিকেট খেলার সঙ্গে থেকে যায় একটা অনাত্মীয় মনোভাব। কাছাকাছি থাকলেও তা বরাবরই দূরের হয়ে থেকেছে। এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

ব্রিটিশরা অনেক কিছু দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারলেও ক্রিকেট খেলাকে সেভাবে পারেনি। ক্রিকেটের মানচিত্র খুব বেশি বিস্তৃত নয়। জটিলতা, ব্যয়বহুল ও সময়ক্ষেপণের কারণে খেলাটি সর্বসাধারণের চাহিদা মেটাতে পারে না। সাধারণত যে খেলায় গতি আছে, শারীরিক সংস্পর্শ আছে, রুখে দাঁড়ানো আছে, তা সহজেই জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রিকেটকে খেলা হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কিছুটা খামতি রয়ে যায়। ব্রিটিশ অ্যারিস্ট্রোক্র্যাটদের মাধ্যমে প্রচলিত খেলাটির গায়ে ‘জেন্টলম্যানস গেমস’ ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়- এ খেলা সবার জন্য নয়। এর মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় সামাজিক বিভাজন বা বৈষম্য এবং শ্রেণিদ্বন্দ্বের বিষয়টি।

এ কারণে ব্রিটিশদের শাসনকালে এ বাংলায় মূলত জমিদার, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি, ধনিক শ্রেণির মধ্যে খেলাটি সীমাবদ্ধ থাকে। এ ছাড়া ইংরেজদের সংস্পর্শে থাকা একটি গোষ্ঠী ক্রিকেটের তালিম নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বস্তুত ঔপনিবেশিক শাসকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে ক্রিকেট।

দেশভাগের পর অবিভক্ত পাকিস্তানে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলার প্রতি আকর্ষণ খানিকটা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরব করার উপলক্ষ হয়ে আসে ক্রিকেট। ঢাক-ঢোল পেটানোর মাধ্যম হিসেবে সামরিক শাসকরা এটাকে লুফে নিতে কালবিলম্ব করেনি। এ কারণে ক্রিকেট খেলায় তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়।

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরপরই ভারত এবং ইংল্যান্ডকে তাদের মাটিতে পাকিস্তানের হারিয়ে দেওয়া, ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি হিসেবে প্রমাণ করা ও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলকানি প্রদর্শন, ঢাকার মাঠে টেস্ট ক্রিকেট আয়োজন, সংবাদপত্রে ক্রিকেট খেলার ব্যাপক কভারেজ দেওয়ার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত একটি অংশের মধ্যে এ খেলাটির প্রতি সফট কর্নার গড়ে ওঠে।

তাদের আইডল হয়ে উঠেন আবদুল হাফিজ কারদার, ফজল মাহমুদ, হানিফ মোহাম্মদ, ওয়াকার হাসান, নজর মোহাম্মদ, খান মোহাম্মদ, ইমতিয়াজ আহমেদ, সাইদ আহমেদ, মোস্তাক মোহাম্মদ, মাজিদ খান, আসিফ ইকবালরা। ক্রিকেটকে ঘিরে সমগ্র পাকিস্তানে এক ধরনের জাতীয়তাবাদী চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হলে তার হাওয়া লাগে পূর্ব পাকিস্তানের এলিট সমাজেও।

সমাজ ব্যবস্থার সহজাত প্রবণতা হয়ে আছে আশরাফ-আতরাফ ভেদ। সামাজিক অবস্থানগত কারণে আভিজাত্যের প্রতি সহমর্মিতা থাকায় একটা শ্রেণি ক্রিকেট খেলাটি সহজে লুফে নেয়। মূলত ঢাকা এবং জেলা শহরের কিছু কিছু স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেটচর্চার প্রসার ঘটে। তদুপরি খেলাটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি হলেও খেলাটিতে দক্ষতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি রয়ে যায়। ক্রিকেটের প্রতি যতটা আবেগ পরিলক্ষিত হয়, ততটা নিবেদন দেখা যায়নি। যে কারণে পাকিস্তান টেস্ট দলে পূর্ব পাকিস্তানের কোনো বাঙালির স্থান হয়নি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তান আমলের নস্টালজিয়া নিয়েই ক্রিকেটের চর্চা শুরু হয়। আলাদা একটা দেশ হওয়ায় ক্রিকেটের পরিসর বৃদ্ধি, ওয়ানডে ক্রিকেটের আবির্ভাব- সর্বোপরি শিক্ষার হার বাড়তে থাকায় মৃদুলয়ে ক্রিকেটের ব্যাপ্তি ঘটতে থাকে। তবে তা সর্বসাধারণের খেলা হয়ে উঠতে পারেনি। যথারীতি ফুটবলের জনপ্রিয়তার আড়ালে থেকে যায়।

তাছাড়া সাফল্য তো দূরে থাক, সত্তর ও আশির দশকে দুঃসহ সময় পাড়ি দিতে হয় এ দেশের ক্রিকেটকে। মূলত শৌখিন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া এমসিসি, টেস্ট স্ট্যাটাসের অপেক্ষায় থাকা শ্রীলঙ্কা, ভারতের সীমিত শক্তির ডেকান ব্লুজ, হায়দরাবাদ ব্লুজ, পশ্চিম বাংলা দল, পিআইএ, ওমর কোরেশী একাদশসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে খেলায় ফুটে ওঠে বাংলাদেশিদের দৈন্যদশা।

এমসিসির বোলার ডাফ, ভার্নন, পিয়ারচুড, বার্কলে, উইং, শ্রীলঙ্কার টনি ওপাথা, ইল্লেপেরুমা, জগন্নাথন, গুনাতিলক, কালুপেরুমা, ডি সিলভা, রানাসিঙ্গে, ডেকান ব্লজের নরসিমা রাও প্রমুখের বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা দুঃস্বপ্নের এক স্মৃতি হয়ে আছে।

এমসিসির মাইকেল মেন্স, নরম্যান, উইকস, বার্কলে, লঙ্কার দিলীপ মেন্ডিস, ওয়েটেমুনি, ওয়ার্নাপুরা, টেনেকুন, ডেকান ব্লজের ওয়াদেকাররা ব্যাট হাতে নামলে সময় যেন থমকে যেত; কিন্তু থামত না রানের গতি। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার কোনোক্রমে ডাবল ফিগারে পৌঁছলে কিংবা কোনো বোলার একাধিক উইকেট নিতে পারলেই ছড়িয়ে পড়ত উচ্ছ্বাস। কেউ ফিফটি হাঁকালে লাগত উৎসবের রং।

আর আইসিসি ট্রফিতে ফিজি, মালয়েশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, বারমুডার মতো নামগোত্রহীন ক্রিকেট দলকে হারাতে পারলে অনেক বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হতো। এ থেকে তখনকার ক্রিকেটের হালহকিকত খানিকটা অনুধাবন করা যায়। তবে নব্বই দশকে এসে আইসিসি ট্রফি নামক হার্ডল কোনোক্রমে পেরিয়ে বিশ্বকাপ খেলাটা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় স্বপ্ন। তখনো এর চেয়ে বড় কিছুর কথা ভাবাই যেত না।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে যেন খুলে যায় অবরুদ্ধ দুয়ার। যুগের পর যুগ মন্থরগতিতে চলা ক্রিকেট খেলা হঠাৎ যেন খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে। যে খেলাটা ছিল সামাজিক স্ট্যাটাসের অংশ, তা যেন একরকম ‘ব্রাত্য’ হয়ে পড়ে। ক্রমশ তার অংশীদার হয়ে ওঠে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ; যা ছিল সুদূরের স্বপ্ন, সেই টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে যায় উঁচু ঘরানায়।

যদিও উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এখন তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের নামটি উচ্চারিত হয় সম্মানের সঙ্গে; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত গর্ব করার মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পারেনি।

একেবারেই পারেনি লেখা ঠিক হলো না। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত করা হয় ক্রিকেট। তাতে স্বর্ণপদক জিতে মাইলফলক স্থাপন করে বাংলাদেশ। অবশ্য এ ক্ষেত্রে রয়ে গেছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’। ভারতের অনুপস্থিতিতে এ গেমসে কোনো দলই তাদের সেরা একাদশ পাঠায়নি। সেই সুযোগে বাজিমাত করে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ।

‘খাদযুক্ত’ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বলার মতো এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সম্বল; কিন্তু আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি, এশিয়া কাপের মতো বনেদি টুর্নামেন্টে শিরোপা আজতক অধরা হয়ে আছে। ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে স্ট্যাটাস অর্জনের আগেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মূলধারায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ পায় এশিয়া কাপ দিয়ে।

১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপ শুরু হলেও ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসর থেকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। সে বছরের ৩১ মার্চ গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলে। এরপর থেকে প্রতিটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ১৬ বার আয়োজিত হয়েছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট।

পর্যায়ক্রমে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এ টুর্নামেন্টে ভারত আটবার, শ্রীলঙ্কা ছয়বার আর পাকিস্তান দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ তিনবার ফাইনালে খেললেও শিরোপার স্বাদ পায়নি। তবে ২০১২ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হারাটা অনন্ত এক আক্ষেপ হয়ে আছে। ম্যাচে তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান যে ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন, পরবর্তী ব্যাটাররা তা ধরে রাখতে পারেননি। তীরে গিয়ে তরী ডুবে যাওয়ায় সেদিন সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের কান্না হৃদয়ের ফ্রেমে বাঁধানো আছে মর্মযাতনার প্রতিচ্ছবি হয়ে।

এরপর মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ঢাকায় টি-টোয়েন্টি এবং ২০১৮ সালে দুবাইয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটের ফাইনালে ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। বিশেষ করে দুবাইয়ে হারতে হারতে ভারতীয়রা শেষ বলে যেভাবে জয় তুলে নেয়, সেই দুঃখও কম কষ্টকর নয়। ম্লান হয়ে যায় লিটন দাসের ১২১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের ঔজ্জ্বল্য। ২০১৮ সালে নারীরা এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও ৩৭ বছর পরও পুরুষদের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিততে না পারাটা মনস্তাপের কারণ হয়ে আছে। এশিয়া কাপ যেখানে অধরা হয়ে আছে, সেখানে বিশ্বকাপ তো অনেক দূরের পথ।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিষেকটা নেহায়েত মন্দ হয়নি। হারিয়ে দেয় স্কটল্যান্ড আর পাকিস্তানকে। এরপর থেকে প্রতিবারই বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে আসছে। ২০০৩ সালে জয়শূন্য থাকলেও অন্যান্য আসরগুলোতে মোটামুটিভাবে সাড়া জাগিয়েছে। ২০০৭ সালে ভারত, বারমুডা ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডকে, ২০১৫ সালে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে এবং ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে; কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের উপরে ওঠা সম্ভব হয়নি।

এবারো ভারতে ত্রয়োদশতম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলবে। আইসিসির বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে থেকে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ। ১০ জাতির এ টুর্নামেন্টে রাউন্ড রবিন লিগ সিস্টেমে প্রতিটি দলকে একে অপরের সঙ্গে খেলতে হবে। এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো মোটেও সহজ নয়।

তবে ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। সেই তরুণদের কেউ কেউ আছেন এবারের বিশ্বকাপ দলে। সেটাও একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা হতে পারে। যদিও দুই টুর্নামেন্টের মধ্যে অনেক পার্থক্য, তারপরও আশা তো করাই যেতেই পারে। এবার না হোক পরেরবার হবে। নতুবা তারও পরে।

যেখান থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ক্রিকেট এ পর্যায়ে এসেছে, সেটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। সমীহযোগ্য দল হিসেবে ইতোমধ্যে অনেক বছর পেরিয়ে এসেছে। এখন তো চ্যাম্পিয়ন হওয়াই বাংলাদেশের স্বপ্ন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের আলোচিত ব্যাটার তামিম ইকবালের বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য, ‘কোনো স্বপ্ন না থাকলে উদ্দেশ্যও থাকে না। এটা আমাদের সপ্তম বিশ্বকাপ। (এখনো যদি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন না দেখি, তাহলে) আমরা আর কবে স্বপ্ন দেখব?’ কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তামিম ইকবালকে কেন্দ্র করেই কেমন যেন একটা গুমোট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অস্বস্তি কাটিয়ে হেসে উঠবে কি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন?

আইএইচএস/

ব্রিটিশরা অনেক কিছু দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারলেও ক্রিকেট খেলাকে সেভাবে পারেনি। ক্রিকেটের মানচিত্র খুব বেশি বিস্তৃত নয়। জটিলতা, ব্যয়বহুল ও সময়ক্ষেপণের কারণে খেলাটি সর্বসাধারণের চাহিদা মেটাতে পারে না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।