বিশ্বকাপে অন্য মিরাজের দেখা পাবে ক্রিকেট বিশ্ব?

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

দুজন পরীক্ষিত অলরাউন্ডার নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের একজন তো বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সাকিব আল হাসান। অন্যজন মেহেদি হাসান মিরাজ। বল হাতে বটেই, ব্যাট হাতেও সমানভাবে প্রতিটি ম্যাচে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে চলেছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।

বয়স বা অন্য যে কারণে হোক, সাকিব আল হাসানের বোলিংটা আর আগের মতো যেন ফণা তুলতে পারছে না। অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। সাকিব বল করেছেন এমন শেষ ১০ ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা আট। ফলে মিরাজের সামনে এখন সুযোগ বল ও ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার।

সে ধরনের প্রতিভা নিয়েই তো তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল তরুণের আবির্ভাব হতে চলেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যুব দল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছায়।

বল ও ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন মিরাজ। যার ফলে বাংলাদেশ ফাইনালে না খেলা সত্ত্বেও মিরাজ টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেবার ২৪২ রানের পাশাপাশি শিকার করেছিলেন ১২ উইকেট।

জাতীয় দলে সুযোগ পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি মিরাজের। শুরুতেই টেস্ট ক্যাপ উঠেছিল তার মাথায়। টেস্ট অভিষেকে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ভবিষ্যতের দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন। ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে বিস্ময়ের পর বিস্ময় ছড়িয়েছিলেন। উভয়ে ইনিংসে ছয়টি করে মোট এক ডজন উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যেমন ব্যাট ও বল হাতে সৌরভ ছড়িয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন, ভারত বিশ্বকাপে তেমনই এক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাত্র কয়েকদিন আগেই এশিয়া কাপে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ওপেনিংয়ে নেমে দলকে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

তারও আগে, গত ডিসেম্বেরে তো ভারতের বিপক্ষে অসাধরণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন। আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরিটি। এর আগে গত বছর আফগানিস্তানের কাছে প্রায় হারতে বসা ম্যাচে আফিফ হোসেনকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জয় এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে।

ওপেনিংয়ে যেমন তার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য রয়েছে, তেমনি লোয়ার অর্ডার কিংবা অন্য যে কোনো পজিশনেও। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটিতে তিন নম্বরে, দ্বিতীয়টিতে ব্যাট করেছেন চার নম্বরে। দুই পজিশনেই তিনি ছিলেন সাবলীল। দুটি অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

বল হাতে তো এমনিতেই খুব ইকনোমি বোলার, সে সঙ্গে ব্যাটিংয়েও দেখাচ্ছেন নিজের অসাধারণ সামর্থ্য। সেই সামর্থ্য এবারের বিশ্বকাপে টেনে নিতে পারলে মিরাজের হাত ধরে অনেক দূর যাওয়ার সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।