আগুন ঝরাতে প্রস্তুত শাহিন আফ্রিদি

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

১৯৯২ সালের পর আর বিশ্বকাপের দেখা পায়নি পাকিস্তান। কখনো ফাইনাল, কখনো সেমিফাইনাল আবার কখনো কোয়ার্টার ফাইনাল উঠেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটিকে। দারুণ সব বোলার আর ব্যাটার নিয়ে হাজির হয়েছে, সামর্থ্যও ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্যের শিখরে আর পৌঁছানো হয়নি।

তবে উপ-মহাদেশে তথা ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপকে ঘিরে পাকিস্তান আবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে। আর এই স্বপ্নের সারথী হতে পারেন দ্রুতগতির পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।

বিশ্বের অন্যতম গতিশীল বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। মাঠে বল হাতে গতির ঝড় তুলতে দক্ষ হওয়ায় তাকে ‘দ্য ফ্যালকন’ নামেও ডাকা হয়।

এক ক্রীড়ামোদি পরিবারে জম্ম শাহিন আফ্রিদির। সাত ভাইয়ের মধ্যে শাহিন সবচেয়ে কনিষ্ঠ। বড় ভাই রিয়াজ আফ্রিদি তার থেকে ১৫ বছর বড়। তিনিও জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পদচারণা তেমন একটা দীর্ঘ ছিল না। মাত্র একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।

তিনিই শাহিনকে শক্ত বলের ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এর আগ পর্যন্ত শাহিন টেনিস বলের ক্রিকেটার ছিলেন। ২০১৫ সালের ঘটনা এটি। সে সময় অনুর্ধ্ব-১৬ দলের ট্রায়ালে অংশ নেন শাহিন। চমৎকার পারফর্ম করে অনুর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য নির্বাচিত হন। সেখানে তার দল ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে।

শাহিন আফ্রিদিকে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধু সামনের দিকেই এগিয়েছেন। গত বিশ্বকাপে তো আগুন ঝরিয়েছিলেন এই পাক পেসার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন।

এছাড়া বিশ্বকাপে কোনো পাকিস্তানি বোলারের এটা ছিল সেরা বোলিং ফিগার। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা ছিল ১৬ উইকেট। আবার বিশ্বকাপ, আবার প্রস্তুত ২০২১ সালে ৩৬ ম্যাচে ৭৮ উইকেট শিকার করা শাহিন আফ্রিদি। এই পারফরম্যান্স তাকে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব এনে দিয়েছিল। এবার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ শিকারের দৌড়ে আফ্রিদি যে থাকবেন তা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।