বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি

ওপেনিংয়ে লিটনই সবচেয়ে বড় ভরসা বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

একটা সময় ছিল ভালো উইকেটকিপিং করতে পারলেই জাতীয় দলে জায়গা নিশ্চিত ছিল; কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্বেও পরিবর্তন এসেছে। বলা যায়, দায়িত্ব বেড়েছে। উইকেটকিংপিংয়ের পাশাপাশি ভালো ব্যাটিং করতে হবে। মুশফিকুর রহিম সেই দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করে আসছেন। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে লিটন দাসও কাজটা ভালোভাবে করে যাচ্ছেন।

মাঝে-মধ্যে কিপিং করছেন, আবার ওপেনার হিসেবেও খেলছেন। শুধু খেলছেন না, ওপেনিংয়ে এখন তিনিই সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র ব্যাটার। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে তাকেই। সে সঙ্গে টেনে তুলতে হবে তানজিদ হাসান তামিমদেরও।

দিনাজপুরে জম্ম নেওয়া লিটন দাসের ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতা সেই কিশোর বয়স থেকে। বিকেএসপি থেকে উঠে আসা লিটনের স্কুল ক্রিকেট ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে তার ব্যাটিং দক্ষতা সবাইকে অবাক করেছিল। উভয় ক্রিকেটে একাধিকবার তিনি বড় বড় ইনিংস খেলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনুর্ধ্ব-১৯ বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ডাক পান লিটন। সেখানেও ব্যাটিং দ্যুতি ছড়ান। দুই আসরে একটা সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনটা হাফ সেঞ্চুরি করেন, রান গড় ৫১.৩৩।

ব্যাটিংয়ে তার চমৎকার রক্ষণাত্মক কৌশল ও শট খেলার দারুণ দক্ষতা- এসব কারণে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয় লিটনকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দরজা খুলে যায়।

প্রথম দিকে বাঘা বাঘা বোলারদের সঙ্গে মানিতে নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে লিটনকে। রান পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এমনটা হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কেননা অভিষেকের পর থেকেই বড় বড় সব দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামতে হয়েছে তাকে। শুরুটাই হয়েছিল ভারতকে দিয়ে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা। ভাগ্যটা একটু খারাপই বলতে হবে লিটনের। কেননা ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ ম্যাচের ছয়টিতেই প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে একটা সময় ঠিকই তিনি মানিয়ে নেন এবং তার ব্যাট থেকে রানের ফুটঝুড়ি ছুটতে থাকে। যে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সেই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি দিয়ে রান খরা কাটান লিটন। সেঞ্চুরি তো বটেই এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো হাফ সেঞ্চুরির বাধা পার হয়েছিলেন।

২০১৫ থেকে ২০২৩- এই আট বছরে মোট ৭৭ ম্যাচ খেলে ২২৫০ রান করেন লিটন। এর মধ্যে সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি। সর্বোচ্চ রানের স্কোর ১৭৬। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলে ইনিংসটি। ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ৫টি ম্যাচ। ৪৬ গড়ে রান করেছেন ১৮৪। সর্বোচ্চ করেছিলেন অপরাজিত ৯৪ রান।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে প্রথমবারের মত জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান লিটন। সিরিজে বাংলাদেশ জিতেছিলো ২-১ ব্যবধানে। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচেও দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন লিটন।

 

আইএইচএস/

ওয়ানডে ক্যারিয়ার (২০১৫-২০০৩) : ম্যাচ: ৭৭, রান: ২২৫০, সর্বোচ্চ ১৭৬, গড়: ৩২.৬০, সেঞ্চুরি: ৫টি, হাফ সেঞ্চুরি : ১০টি, ক্যাচ: ৫০টি, স্ট্যাম্পিং: ৪টি)

বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার (২০১৯) : ম্যাচ: ৫, রান: ১৮৪, সর্বোচ্চ ৯৪*, গড়: ৪৬.০০, সেঞ্চুরি: ০টি, হাফ সেঞ্চুরি : ১)

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।