বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি

ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই বড় লক্ষ্য নাজমুল হোসেন শান্তর

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

ক্যারিয়ারের শুরুটা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তর। একের পর এক সুযোগ পেয়েছেন আর ব্যর্থতা উপহার দিয়েছেন। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একসময় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, নাজমুল হোসেন শান্তু খুঁটির জোর কোথায়? কেন এত ব্যর্থতার পরও তিনি দলে সুযোগ পেতে থাকেন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা শান্তকে নিয়ে। তার দল থেকে বাদ দেয়ার জন্য রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলো একটা পক্ষ। কিন্তু সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চোখ বন্ধ করে সয়ে গেলেন শান্ত এবং নিবিড় মনে নিজেকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।

অবশেষে পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করলেন তিনি। এখন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার কে? জানতে চাইলে কঠোর সমালোচনকরাও চোখ বন্ধ করে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম বলে দেবেন। এশিয়া কাপ, তার আগে এবং পরের পারফরম্যান্স টেবিলে রাখলে শান্তকে নিয়ে এই উপসংহারেই পৌঁছাবেন সবাই।

এবারের বিশ্বকাপ শান্তর জন্য প্রথম এবং নিজের ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতাই ভারতের মাটিতে ধরে রাখার মূল লক্ষ্য তার। পারবেন কি শান্ত, নিজের লক্ষ্যপানে পৌঁছে বাংলাদেশ দলকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিতে?

প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই অন্যরকম এক উত্তেজনা কাজ করার কথা নাজমুল হোসেন শান্তর মধ্যে। তবে এটা একেবারেই প্রথম বিশ্বকাপ তার, তা কিন্তু নয়। ২৫ বছর বয়সী নাজমুল এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশকে।

শুধু সিনিয়র দলের হয়ে নয়, শান্ত জুনিয়র দলের হয়েও বিশ্বকাপ খেলেছেন। টপ অর্ডার এই ব্যাটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী ছিলেন। ৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১৮০ রান।

ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ এই টপ অর্ডার ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। ভালো করার যথেষ্ঠ সামর্থ্যও রয়েছে বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে তার প্রমাণও তিনি দিয়েছেন। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন, অন্য এক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৯ রান।

১৯৯৮ সালে রাজশাহীতে জম্ম নাজমুল হোসেন শান্তর। রাজশাহীতেই তার ক্রিকেটে হাতেখড়ি। স্থানীয় ক্লেমন রাজশাহী ক্রিকেট একাডেমিতে ক্রিকেট শেখার কাজটা শুরু করেন। যদিও এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম মোটেও সহজ ছিল না। কেননা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তার বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এ জন্য তাকে বাই-সাইকেল ব্যবহার করতে হতো।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শান্তর পথ চলাটা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। ব্যর্থতাই ছিল তার নিয়মিত সঙ্গী। প্রথম ১৫ ম্যাচের সিংহভাগেই সিঙ্গেল ডিজিটের রানের সঙ্গে তার মিতালি বেশি ছিল। ১৬তম ইনিংসে গিয়ে পেয়েছিলেন প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা।

তাও চলতি বছর শুরুতে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এ ম্যাচ থেকেই মূলত বড় স্কোরের সঙ্গে তার মিতালি শুরু হলো। এরপর ১৪ ম্যাচে ছয়বার পঞ্চাশের ঘর পার হয়েছেন শান্ত। তার মধ্যে দুটো রয়েছে সেঞ্চুরি।

শান্তর ক্যারিয়ার

ম্যাচ

রান

সর্বোচ্চ

গড়

১০০/৫০

 ২৯

৮৩২

১১৭

২৯.৭১

২/৪

আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।