বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি

শেষ বিশ্বকাপটা রাঙাতে পারবেন মুশফিক?

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যে ক’জন ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছেন তাদের অন্যতম মুশফিকুর রহিম। একটা সময় উইকেটের সামনে ও পেছনে উভয়ই স্থানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও এখন শুধু ব্যাটার হিসেবে বেশি দায়িত্ব পাল করছেন। যদিও বিশ্বকাপে উইকেটের পেছনের গ্লাভস তার হাতেই রয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে এখনো নির্ভরতার প্রতীক হয়ে আছেন ৩৬ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম।

অনেকটা বিরুদ্ধ পরিবেশের মাঝে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মুশফিকুর। ইংল্যান্ডে এটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম সফর। সে সফরে নাজুক অবস্থায় পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। একদিকে আনইভেন বাউন্স অন্যদি দূর্দান্ত পেস আক্রমণ। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা। তবে অনুশীলন ম্যাচে নিজেকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিলে মুশফিুকর।

উইজডেনের তথ্যানুসারে অনুশীলন ম্যাচে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন মুশফিকুর। সাসেক্সের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৩ রান। আর নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে তার স্কোর ছিল অপরাজিত ১১৫।

দলে পার্টটাইম উইকেটরক্ষক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হলেও অনুশীলন ম্যাচে ব্যাটিং তাকে নিয়ে কর্মকর্তাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। ফলে লর্ডসে প্রথম টেস্টে তিনি স্পেশাল ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামেন। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে অল আউট হয়েছিল। ১৭ বছর বয়সী মুশফিকুর করেছিলেন ১৯ রান।

বাংলাদেশের মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ বছরের ওই কিশোরও একজন। ইনজুরির কারণে সফরে মুশফিকুর আর মাঠে নামতে পারেননি। তবে এই টেস্টে খেলার মাধ্যম লর্ডসের ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেন তিনি। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের পর মুশফিক হচ্ছেন দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যিনি লর্ডসে টেস্ট খেলেছেন।

১৯৮৭ সালে বগুড়ায় জম্ম নেওয়া মুশফিকুর রহিমের ওয়ানডে অভিষেক টেস্টের পর। ইংল্যান্ড সফরের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ওই সিরিজে মুশফিকুরের পাশাপাশি ফরহাদ রেজা ও সাকিব আল হাসান প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পান। এই সিরিজে মুশফিকুর প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। শুধু তাই নয়, তার চমৎকার পারফরম্যান্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হিসেবে দলভুক্ত হন।

চলতি বছর মার্চে আয়ারল্যান্ডে বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এক কীর্তি নিজের করে নেন। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। ৬০ বলে তিন অঙ্কের যাদুকরী রানের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাত হাজার রান করার কীর্তি গড়েন।

মুশফিকুরের ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখে সে সময়ে বাংলাদেশের কোচ জেমি সিডন্স কি মন্তব্য করেছিলেন তা একটু জেনে নেওয়া যাক- মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দক্ষতা এমনই যে, সে এক নম্বর থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত যে কোনো স্থানে ব্যাট করতে পারে।

আর বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে মুশফিকুরের পরিচয় মিস্টার ডিপেন্ডাবল। বয়সের বিচারে এটা মুশফিকুরের শেষ বিশ্বকাপ। আর তাই এবারের বিশ্বকাপটা সমর্থকদের দেওয়া নামটা যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। সে সঙ্গে চান ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা রাঙাতে।

মুশফিকের ক্যারিয়ার

ম্যাচ

ইনিংস

রান

সর্বোচ্চ

গড়

১০০/৫০

২৫৬

২৩৯

৭৪০৬

১৪৪

৩৭.০৩

৯/৪৬

 আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।