বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: নান্নু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শেষ হয়ে গেল মিনহাজুল আবেদিন উপাখ্যান। ১৯৯০ সালে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপে ও একই বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপে টিম বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেওয়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম দক্ষ ও সেরা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ থেকে আর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক নন।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে দেশের ক্রিকেটের আরেক উজ্জ্বল তারকা ও বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

বলে রাখা ভালো, ক্লাব ক্রিকেট আশির দশকের শুরুতে আবাহনীতে এক সঙ্গে খেলেছেন লিপু আর নান্নু। লিপু ছিলেন আবাহনীতে নান্নুর প্রথম অধিনায়ক। একইভাবে ৮৬ সালে প্রথম এশিয়া কাপেও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্যাপ্টেন্সিতেই খেলেছেন নান্নু।

জাতীয় দলে লিপুর পর অধিনায়কও হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এবার নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক হলেন লিপু। ২০১৬ থেকে টানা ৭ বছরের বেশি সময় প্রধান নির্বাচক ছিলেন নান্নু। তারও আগে প্রথম নির্বাচক হয়েছিলেন ২০১২ সালে। আজ সে নির্বাচক পদের ইতি নান্নুর। কিভাবে দেখছেন ব্যাপারটিকে? কেমন লাগছে? অনুভূতি কী?

জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে নান্নু বেশ সাবলীল কণ্ঠে বললেন, ‘কিছুই বলার নেই। এটা বিসিবির এখতিয়ার। বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রধান নির্বাচক পদে ৭ বছর আর নির্বাচক পদে আরও ৫ বছর- মোট ১২ বছরের বেশি সময় আমি নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি, সেটাও কম নয়।’

এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও অন্য কথা প্রসঙ্গে নান্নুর মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি আক্ষেপ। তার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, মানে তিনি আর প্রধান নির্বাচক থাকছেন না, এ বিষয়ে তার সঙ্গে বোর্ডের নীতি-নির্ধারকদের কেউ কোনো কথা বলেননি।

এআরবি/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।