হান্নান সরকারের প্রতিক্রিয়া

বয়সভিত্তিক দলে ভালো কাজ করার স্বীকৃতি পেলাম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৪৮ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হান্নান সরকার

মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সঙ্গে আর চুক্তির মেয়াদ না বাড়িয়ে তার সিনিয়র ও ক্লাব, দল এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে নতুন প্রধান নির্বাচক করা নিয়ে তেমন কোনো বিতর্কর সৃষ্টি হয়নি। কারণ গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্রিকেটীয় যোগ্যতা, বোধ, অনুভব আর জ্ঞান প্রশ্নাতীত। তা নিয়ে অতিবড় সমালোচকও কোনো প্রশ্ন তুলছেন না।

কিন্তু হাবিবুল বাশারকে বাদ দিয়ে হান্নান সরকারকে নির্বাচক করা নিয়ে রাজ্যের কথা বার্তা। সমালোচনার ঝড়। অনেকেরই কথা, সাধারণ হিসেবে নান্নুর পরিবর্তে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তার সহযোগী হাবিবুল বাশারকে অন্তত নির্বাচক পদে রাখা যেতো।

হান্নান সরকারের নির্বাচক হওয়া নিয়ে তাই অনেকের মনেই জেগেছে প্রশ্ন। কেন, কী কারণে হান্নান সরকারকে নির্বাচক করা হলো? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উকি-ঝুঁকি দিচ্ছে।

তবে হান্নান সরকার নির্বাচক হয়ে মোটেই অবাক নন। তার ধারণা, বয়সভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচক হিসেবে তিনি যে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন, সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির কর্মকর্তারা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং তাকে সিনিয়র দলের নির্বাচক পদে মনোনীত করে রীতিমত পুরস্কৃত করেছে।

প্রসঙ্গত প্রায় ৮ বছর ধরে বয়সভিত্তিক দলগুলোর অন্যতম নির্বাচক হান্নান সরকার। জাতীয় দলের এ সাবেক টপ অর্ডার সেই ২০১৫ সাল থেকেই অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দল সাজানোর কাজটা করে আসছেন।

হান্নান মনে করেন, বয়সভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচক পদে তিনি যে কাজ করেছেন, সেটা পাখির চোখে পরখ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার ভাষায়, পাপন ভাই আমার কাজাটা সবসময় পাখির চোখে পরখ করেছেন। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্ডার নাইনটিন ওয়ার্ল্ডকাপের সময় তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন।

নির্বাচক হতে পারার অনুভূতি কি? প্রশ্ন করা হলে হান্নান বলেন, ‘জাতীয় দলের নির্বাচক হওয়াতো ভালো লাগারই ব্যাপার। এইজ লেভেলে আমার কিছু অর্জন ও প্রাপ্তি আছে। যুব বিশ্বকাপ বিজয়ের সময় দল সাজানোর কাজটি সাফল্যর সঙ্গে করেছি। এরপরও অনূর্ধ্ব-১৯ দল নির্বাচনে আমার ভূমিকা পাপন ভাই হয়তো খুব ভালো চোখে দেখেছেন। তাই আমার মনে হয় বয়সভিত্তিক নির্বাচক হিসেবে আমার ভালো পারফরমেন্স দেখেই সিনিয়র নির্বাচক হিসেবে বেছে নিয়েছে বোর্ড। আমার কাছে এটা অনেক বড় রিওয়ার্ড। আর কাজের স্বীকতি পেলে কার না ভালো লাগে বলেন?

এইজ লেভেলে অনেক প্লেয়ারের সঙ্গে গত ৭/৮ বছর কাজ করেছেন তিনি। যাদের অনেকেই কোনো না কোনো ফরম্যাটে জাতীয় দলে। তাদের সম্পর্কে তার ধারণা খুব পরিষ্কার। এটা কি সিনিয়র দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করতে সুবিধা হবে? হান্নানের ব্যাখ্যা, হ্যাঁ, তাতো হবেই। এইজ লেভেলে খেলে যারা এখন জাতীয় দলে বা পাইপ লাইনে, তাদের সম্পর্কে আমার ধারণা অতি পরিষ্কার।

তারপরও আমি মনে করি নতুন দায়িত্বটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং কাজের ক্ষেত্রটা অনেক বড়। হান্নানের আশা, আমি সে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে প্রস্তুত। সাধ্যমত চেষ্টা করবো, নতুন চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে।

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।