রিশাদ-মঈনের ঘূর্ণিতে বিশাল জয় কুমিল্লার

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

একদমই ব্যাটিংবান্ধব পিচ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়লো। তারপরও অনেকটা সময় পর্যন্ত ম্যাচে ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

কিন্তু স্বাগতিকরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলো দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন আর মঈন আলির ঘূর্ণিতে। দুজনই নিলেন ৪টি করে উইকেট। মঈন তো শেষদিকে এসে হ্যাটট্রিকও করে ফেললেন।

২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানেই থামলো চট্টগ্রামের ইনিংস। স্বাগতিকদের ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হারালো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

অষ্টম ম্যাচে কুমিল্লার এটি ষষ্ঠ জয়। নবম ম্যাচে চতুর্থ হার চট্টগ্রামের। ১২ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আর চট্টগ্রাম ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে।

বড় রান তাড়ায় দারুণ শুরু করেন তানজিদ হাসান তামিম আর জশ ব্রাউন। ৪৫ বলে ৮০ রানের ঝোড়ো ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। মারকুটে তামিমকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে তামিম ৫টি চারের সঙ্গে হাঁকান দুটি ছক্কা।

পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই আরেক ওপেনার ব্রাউনকে (২৪ বলে ৩৬) ফেরান লেগস্পিনার রিশাদ। এক ওভার পর এসে রিশাদ তুলে নেন আরও দুই উইকেট। এবার তিন বলের ব্যবধানে রিশাদের শিকার টম ব্রুস (৭ বলে ১১) আর শাহাদাত হোসেন দিপু (৮ বলে ১২)।

রিশাদের ঘূর্ণিতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে চট্টগ্রাম। এরপর সৈকত আলি ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি। ১১ বলে ১ চার আর ৫ ছক্কায় ৩৬ রানে মঈন আলিকে উইকেট দেন সৈকত।

মঈন নিজের পরের ওভারে হ্যাটিট্রিক করার পাশাপাশি চট্টগ্রামকে অলআউট করে দেন। ১৭তম ওভারে টানা তিন বলে তিনি ফেরান লোয়ার অর্ডারের শহিদুল ইসলাম, আল আমিন আর বিলাল খানকে। ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম।

রিশাদ ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ২৩ রানে ৪ উইকেট শিকার মঈন আলির।

এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর টর্নেডো বইয়ে দেন দুই ইংলিশ ক্রিকেটার উইল জ্যাকস এবং মঈন আলি।

উইল জ্যাক করলেন সেঞ্চুরি। মঈন আলিও ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি করলেন। তাদের ব্যাটে ভর করে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়লো কুমিল্লা। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে দলটি। ৫৩ বলে ১০৮ রানে উইল জ্যাক এবং ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি।

এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে লিটন দাসও ঝড় তুলেছিলেন। ৩১ বলে ৬০ রান করেন লিটন। তিন ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড গড়ে কুমিল্লা। এর আগে এই চট্টগ্রামের বিপক্ষেই ২১১ রান তুলে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড করেছিল রংপুর রাইডার্স।

শুধু তাই নয়। বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও স্পর্শ করে ফেলেছে কুমিল্লা। ২০১৯ সালের আসরে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়েছিল রংপুুর রাইডার্স। আজ সেই রংপুরের সেই রেকর্ডেও ভাগ বসায় কুমিল্লা।

উইল জ্যাকসের শত রানের ইনিংসে ছিল ১০টি ছক্কার মার। এই ইংলিশ ব্যাটার চার মার খেলেছেন ৪টি। তারই জাতীয় দলের সতীর্থ মঈন আলির ফিফটিতে ছিল ৫ ছক্কা আর ২ চারে মার। লিটনের দুর্দান্ত ফিফটিতে ছিল ৯টি বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার।

কুমিল্লার পেসার শহিদুল ইসলাম ৪৯ রানে নেন ২টি উইকেট।

এমএমআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।