কাজে পূর্ণ স্বাধীনতার আশ্বাস পেয়েই রাজি হয়েছেন লিপু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু

বাংলাদেশের ক্রিকেটে নির্বাচকরাই শেষ কথা নয়। তিনজনের নির্বাচক কমিটি যে দল সাজান, যাদের নির্বাচন করে; তারা সবাই যে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তা নয়। নির্বাচকদের হাতে গড়া ও সাজানো জাতীয় দলে থাকে নানা হস্তক্ষেপ।

সেটা শুধু বোর্ডের থেকেই যে আসে, এমন না। খোদ প্রধান কোচও কখনো কখনো নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। টিম বাংলাদেশের বর্তমান হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিপক্ষে এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তিনি তার পছন্দর ক্রিকেটারকে যে কোন মূল্যে দলে চান। আর অপছন্দের ক্রিকেটারকে নানা ছলছুঁতোয় বাইরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এগুলো গুজব, রটনা কিংবা মিথ্যে অভিযোগ নয়। সত্যতা আছে।

তার বড় নজির হলেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। যিনি শুধু ক্রিকেটার নির্বাচন আর জাতীয় দল গঠনে অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণেই সরে গিয়েছিলেন পদ থেকে। এবং পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা ছাড়া আর প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ না করার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন।

কোনো কোনো মহলের অভিযোগ-মিনহাজুল আবেদিন নান্নু , হাবিবুল বাশাররা ওই অযাচিত হস্তক্ষেপ মেনে নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো, গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাজেও কি খবরদারি, নজরদারি আর অযাচিত হস্তক্ষেপ হবে? বোর্ডের নীতি নির্ধারক আর হেড কোচ কি জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচকের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন? নাকি পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে পারবেন গাজী আশরাফ হোসেন?

লিপুকে খুব কাছ থেকে যারা চেনেন, জানেন- তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন; শুধু ক্রিকেট জ্ঞান, বোধ-উপলব্ধিই বেশি নয়, লিপুর ব্যক্তিত্বও প্রবল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে লিপু এমন এক নাম আর শক্ত ব্যক্তিত্ব-যার ওপর ছড়ি ঘোরানো কঠিন। তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া শুধু পদ ধরে রাখতে কাজ করবেন, এমনটা বিশ্বাস করার মতো লোক পাওয়া দুষ্কর।

কথাবার্তায় পরিষ্কার, কাজের বিশেষ করে ক্রিকেটার নির্বাচন ও দল সাজানোর কাজে পূর্ণ স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস পেয়েই প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন লিপু।

গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দায়িত্ব প্রাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কয়েক মিনিট পর জাগো নিউজের সাথে আলাপে জাতীয় দলের প্রথম ওয়ানডে ক্যাপ্টেন জানিয়ে দিয়েছিলেন, বোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। রাত পার করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিসিবি অফিসে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপেও একই কথা লিপুর। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘দল নির্বাচনে স্বাধীনতা থাকবে। এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।’

লিপু যোগ করেন, ‘আগের প্রসেসটা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমরা জানি যে এটা অনেক বড় একটা প্রসেস ছিল। তবে যেহেতু দল নির্বাচন, সেহেতু ক্যাপ্টেন ও কোচ ডেফিনিটলি ইনভলভ থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে সিস্টেম আছে, সেটার মধ্যে রাখারই চেষ্টা করব।’

লিপুর শেষ কথা, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে আনন্দ নেই। রাস্তা সবসময় খোলা আছে। আসার রাস্তাও খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।