ভারতের ডিআরএস নিয়ে কড়া সমালোচনা স্টোকসের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রাজকোট টেস্টে ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারের পর ডিআরএসের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টেকস। তার অভিযোগ, ডিআরএসে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। যার কারণে, তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এই ম্যাচের ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহের বল জ্যাক ক্রাউলির প্যাডে লাগে। এতে ভারত বড় আবেদন জানালে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ক্রাউলি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নেন। ডিআরএসে দেখা যায়, বল অনেকটা লেগসাইডে ও স্টাম্পের উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত হওয়ার কারণে ইংল্যান্ডের রিভিউ কোনো কাজে আসেনি।

রাজকোট টেস্টের পরে স্টোকস একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ক্রাউলির রিভিউ আমাকে অবাক করেছে। রিভিউতে স্পষ্ট দেখা গেছে, বল স্টাম্পের উপর দিয়ে গিয়েছে। তার পরেও কিভাবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলো। বল স্টাম্পে লাগলে তবেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকা উচিত ছিল।সেটা হয়নি। তা হলে হয় ছবিতে কোনো ভুল ছিল। না হয়, তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভুল হয়েছে। এ রকম ভুল প্রযুক্তি আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এটা ঠিক নয়।’

স্টোকসের অভিযোগ, ‘তিনবার তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। তিনি বলেন, “এমন না যে এটা প্রথম বার হলো। প্রথম ইনিংসে (অলি) পোপের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। আরও একবার আমাদের বিরুদ্ধে রিভিউ গিয়েছে। তিনবারই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণে এমনটি হয়েছে। আমার মনে হয়, আম্পায়ার্স কল তুলে দেওয়া উচিত। বলে স্টাম্পে লাগলে আউট, না লাগলে নটআউট। তার বাইরে কিছু হতে পারে না। আমি প্রযুক্তি খুব ভালো জানি না। তবে দেখে মনে হচ্ছে, কোথাও ভুল হচ্ছে।’

রাজকোট টেস্টে রাজত্ব ছিল ভারতের। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪৩৪ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতীয়রা। রানের হিসেবে এটি ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। অপরদিকে ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বড় লজ্জার হার। এই জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।