শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম

আউটফিল্ডে নবরূপ, তবে আচরণ বদলায়নি উইকেটের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টিভির পর্দায় দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। মাঠে উপস্থিত দর্শকদের প্রায় সবাই গ্যালারি, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড এবং বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ঢুকে আউটফিল্ডের দিকে তাকিয়ে রীতিমত মুগ্ধ। সবার মুখে একটাই প্রশংসা বাক্য, ‘বাহ! দারুণ লাগছে তো শেরে বাংলার আউটফিল্ড!’

একদম নতুনের আদলে তৈরি হোম অব ক্রিকেটের মাঠ। যেন ঘন সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো। ঠিক যেন মেলবোর্ন এর আদলে সাজানো। সত্যিই তাই। শেরে বাংলার আউটফিল্ডের চিরচেনা রুপ বা পুরাতন চেহারা পাল্টে নতুন রূপে সেজেছে। দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।

কিন্তু কঠিন সত্য হলো, আউটফিল্ডের চেহারা বদলালেও শেরে বাংলার পিচের আচরণ, গতি-প্রকৃতি আর চরিত্র একটুও বদলায়নি। ঠিক আগের মতোই মন্থর আর নিচু বাউন্সি পিচ।

ঠেলা গাড়ীর গতিতে থেমে থেমে বল আসে ব্যাটে। উচ্চতাও চট্টগ্রামের তুলনায় কম। এমন স্লো আর লো-পিচে ইচ্ছেমতো ফ্রি-স্ট্রোক প্লে কঠিন। তাই শুক্রবারের দুটি ম্যাচই হলো লো স্কোরিং।

আসুন, দুই ম্যাচের স্কোর লাইন এক পলক দেখে নেওয়া যাক।

দুপুরে হওয়া দিনের প্রথম খেলায় টস হেরে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৪০ রানে থেমে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটে। ম্যাচ জিততে তামিম ইকবালের দলকে খেলতে হয়েছে ১৯.৪ ওভার পর্যন্ত।

আর সন্ধ্যায় সিলেট স্ট্রাইার্সের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয় আর আফিফ হোসেনের খুলনা টাইগার্স প্রথমে ব্যাট করে থামে ১২৮ রানে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হোম অব ক্রিকেটে বিপিএলের খেলা দেখতে আসা ১৭-১৮ হাজার দর্শক এমন লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখে এতটুকু মজা পাননি। তাই দ্বিতীয় ম্যাচের অর্ধেকটা শেষ হতেই গ্যালারি দর্শকশুন্য হয়ে গেছে।

রাতের ম্যাচগুলোতে ১৬০ থেকে ১৮০+ রান উঠলেও ঢাকার প্রথম পর্বে দিনের আলোয় হওয়া ম্যাচগুলোয় ছিল চরম রান-খরা। এরপর সিলেটে তেমন রান না উঠলেও বন্দর নগরী চটগ্রামে রান উঠেছে বেশ। ব্যাটাররা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মোটামুটি হাত খুলে খেলতে পেরেছেন। চট্টগ্রাম পর্বে দুটি সেঞ্চুরিও হয়েছে।

কিন্তু ঢাকায় ফেরার পর বিপিএলের সেই রান উৎসব আবার গেছে থেমে। নকআউট পর্ব শুরুর আগে আজ শুক্রবার রাউন্ড-রবিন লিগের ফিরতি পর্বের শেষ দিনও শেরে বাংলার পিচের সেই চিরচেনা রূপ। মানে, চরম রান-খরা।

এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ১ ও ২ এবং ফাইনালেও যদি হোম অব ক্রিকেটের পিচ এমন নির্জীব, প্রাণহীন থাকে, তাহলে ব্যাটারদের স্বাচ্ছন্দে চটকদার মার এবং হাত খুলে খেলতে খুব কষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ, উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বতী অনেকটাই কমে যাবে।

এআরবি/এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।