ফাইনালে ওঠার লড়াই

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে শামীমের বিধ্বংসী ফিফটি, লড়াকু পুঁজি রংপুরের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

৭৭ রানে নেই ৭ উইকেট। প্রায় ১৫ ওভার হয়ে গেছে তখন। রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ ১০০ রানের আশেপাশে আটকে যাবে, মনে হচ্ছিল তেমনটাই। কে জানতো, শামীম পাটোয়ারী এমন চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করবেন!

দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে শামীম শুধু হালই ধরলেন না, ২০ বলে ফিফটি করে রংপুর রাইডার্সকে এনে দিলেন লড়াকু পুঁজি। শামীম পাটোয়ারীর ২৪ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে শেষ ৫ ওভারে ৬৬ রান তুলেছে রংপুর। ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের বোর্ডে জমা পড়েছে ১৪৯ রান। অর্থাৎ ফাইনালে উঠতে হলে ফরচুন বরিশালকে করতে হবে ১৫০।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর।

বরিশালের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল মেকশিফট শেখ মেহেদি হাসানকে। মেহেদি সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বলে ২ রান করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।

ওই ওভারেই সাইফউদ্দিন তুলে নেন সাকিবের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। ৪ বলে ১ রান করে সাকিবও সাইফউদ্দিনের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন। দলের বিপদ আরও বাড়ান রনি তালুকদার। কাইল মায়ার্সকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন ১২ বলে ৮ করে।

১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে রংপুর। ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকেন হার্ডহিটার নিকোলাস পুরানও। রান বের করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচ হয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। ১২ বলে করেন মাত্র ৩।

সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝেও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন জিমি নিশাম। তবে অতি আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়েই যেন বিপদ ডেকে আনেন। জেমস ফুলারের লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন নিশাম। ২২ বলে ২৮ রানে থামে তার ইনিংস।

৪৮ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর। বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ নবি আর নুরুল হাসান সোহান। ১৫তম ওভারে সেট এই দুই ব্যাটারকেই সাজঘরের পথ দেখান জেমস ফুলার। নবি ১৫ বলে ১২ করে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে আর সোহান ১৭ বলে ১৪ করে হন বোল্ড।

সেখান থেকে শামীম পাটোয়ারীর অবিশ্বাস্য ব্যাটিং। একটা প্রান্ত ধরে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান এই বাঁহাতি। ২৪ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে ৫টি করে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি।

ফরচুন বরিশালের জেমস ফুলার ২৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। ২৭ রান খরচায় দুটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এমএমআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।