ফাইনালের আগে ফটোশ্যুটে কেন যাননি লিটন, জানালেন কোচ সালাউদ্দিন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফাইনালের আগে অন্যরকম এক উদ্যোগ নিলো বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়ার উদ্দেশেই হয়তো এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।

অন্যরকম এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঢাকার নবাবদের আদি নিবাস আহসান মঞ্জিলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দুই ফাইনালিস্ট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস আর ফরচুন বরিশাল অধিায়ক তামিম ইকবালের ট্রফি নিয়ে ফটোশ্যুট ও মিডিয়া সেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ফাইনালিস্ট দলের দুই অধিনায়কের একজনও যাননি সে অনুষ্ঠানে। বরিশালের অধিনায়ক তামিমের পক্ষে ট্রফি হাতে আহসান মঞ্জিলে পোজ দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর লিটন দাসের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন উইকেটকিপার জাকের আলী নায়েক।

দুই অধিনায়কের ট্রফি হাতে ফটোশ্যুট আর মিডিয়া সেশন কাভার করতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংবাদকর্মী ভিড় ও পুরান ঢাকার জ্যাম ঠেলে উপস্থিত হয়েছিলেন।

কিন্তু তামিম ও লিটনের মধ্যে কেউ তাতে উপস্থিত না থাকায় গণমাধ্যম পাড়ায় রীতিমত ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। কথা হয়, যদি তামিম আর লিটন উপস্থিত নাই হবেন, তাহলে আর ঘটা করে বুুড়িগঙ্গার পাড়ে এমন ফটোশ্যুট ও মিডিয়া সেশনের আয়োজন কেন?

তার অবশ্য কোন সদুত্তর মেলেনি। তবে ফরচুন বরিশাল ক্যাপ্টেন তামিম ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারার কারণ জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে অধিনায়ক লিটন দাসের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। অনেক কথার ভিড়ে সালাউদ্দিন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ফাইনালের আগের দিন সাত সকালে তিনি লিটনকে ভিড় ও সড়কের জ্যাম ঠেলে আহসান মঞ্জিলে ফটোশ্যুটে পাঠানোর যৌক্তিকতা অনুভব করেননি। তাই লিটন যাননি।

কুমিল্লা কোচ বলেন, ‘ব্যাপারটা অন্যায় হয়েছে কিনা জানিনা। কিন্তু কালকে আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে হোটেলে ফিরে আসবে। সেটা কেমন হয়?’

সালাউদ্দিন মনে করেন, লিটন দাসের ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়া বা জেতার প্রস্তুতি নেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে অনেক দূরে বুড়িগঙ্গার কাছে আহসান মঞ্জিলে ওই ফটোশ্যুট করার বিরোধিতা করেছেন কুমিল্লা কোচ।

সালাউদ্দিন মনে করেন, অতদূরে না করে তাদের এবং বরিশালের টিম হোটেলের আশপাশে অথবা কাছে কোনো জায়গায় ফটোশ্যুট এবং মিডিয়া সেশন করলে দুই অধিনায়কই যেতেন।

কুমিল্লা কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয়, একটা প্রোপার জায়গায় নিতো, কাছে নিতো। এটা হলে আমার মনে হয় যে দুই অধিনায়কই যেতো। এটা এমন একটা জায়গায় দিয়েছে, সেখানে যে (জাকের আলী অনিক) গেছে, সে এখন কোমর নাড়াতে পারতেছে না।’

‘এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। শেষ মুহূর্তে আমরা মেইল পাই।’- যোগ করেন সালাউদ্দিন।

এআরবি/এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।