হার সবসময়ই বেদনার, তবে আমি ভেঙে পড়বো না: জাকের
![হার সবসময়ই বেদনার, তবে আমি ভেঙে পড়বো না: জাকের](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/10-20240305010441.jpg)
সংবাদ সম্মেলনে বারবার একটি কথাই বললেন, জিততে পারলো ভালো লাগতো। জাকের আলি অনিক যে অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত পারলে না। তার দুইশ স্ট্রাইকরেটে ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটা গেলো বিফলে।
শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন জাকের। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২। তিনি যখন আউট হন, তার আগেও ৪ বলে ১০।
ম্যাচটা প্রায় বেরই করে ফেলেছিলেন জাকের। শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ের সেই সময়টায় কী পরিকল্পনা ছিল?
জাতীয় দলে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক হওয়া জাকের জানালেন, 'রিশাদকে বলেছিলাম জাস্ট চেষ্টা করে আমাকে স্ট্রাইক দেওয়ার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওর উইকেটটা পড়ে যায়। আমি তো তারপরও স্ট্রাইকে ছিলাম, যখন ৪ বলে ১০ লাগতো। কনফিডেন্স ছিল ইনশাআল্লাহ পারব। যেহেতু পুরো ইনিংসটা ভালো যাচ্ছিল। কানেক্ট হয়নি, হাতে চলে গেছে, এই আর কী!'
জাকের সবসময় একটা কথা বলেন, আবেগ তাকে ছুঁয়ে যায় না। কিন্তু যে ম্যাচটি এভাবে হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিলেন, হারের পর খারাপ লাগা কি কাজ করছে না?
জাকেরের উত্তর, 'চেহারা দেখেই তো বুঝতে পারছেন, আমি কেমন আছি। হারটা সবসময়ই বেদনার। ফাইনাল (বিপিএল) হেরে আসছি। রাতে ঘুম হয়নি। দেশের হয়ে জিততে পারলে আরেকটু ভালো লাগতো। আমি ভেঙে পড়ব না। অবশ্যই কিভাবে জেতা যায় পরের ম্যাচ...আর আমি মনে করি এই ম্যাচ থেকে আমাদের পাওয়ার অনেক কিছু আছে।'
বিপিএলে ভালো করার পরও সুযোগ মিলছিল না। এবারও শুরুতে টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না। পরবর্তীতে আলিস আল ইসলামের চোটে কপাল খুলেছে।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে জাকেরের উপলব্ধি, 'এই জিনিসটা আমি সবসময় বলি, আমার যখন সময় আসবে...আমি সবাইকেই বলতাম, আল্লাহ তায়ালা যখন আমার জাতীয় দলে খেলার সময় লিখে রাখবেন, তখন আমি এমনিতেই খেলতে পারব। এটাই...আমার সুযোগ এসেছে।'
জাকের যোগ করেন, 'আলিসের যখন ইনজুরি হলো, মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। শান্ত (অধিনায়ক) আমার সঙ্গে কথা বলেছিল-তোর কিন্তু যাওয়ার চান্স আছে। মানসিকভাবে রেডি থাকিস। আমার সঙ্গে আগেই কথা হয়েছিল। আমি প্রস্তুত ছিলাম।'
এমএমআর/এমআইএইচএস