মোস্তাফিজের আলো ছড়ানোর রাতে জয়ে ফিরলো চেন্নাই

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

 

মোস্তাফিজুর রহমান একাদশে ফিরলেন। টানা দুই হারের পর চেন্নাই সুপার কিংসও ফিরলো জয়ের ধারায়। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখে বড় ব্যবধানেই হারালো রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

পাঁচ ম্যাচে এটি চেন্নাইয়ের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেলো শ্রেয়াস আয়ারের কলকাতা।

মোস্তাফিজ-জাদেজাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেন্নাইয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩৮ রানের। অধিনায়ক রুতুরাজের ৫৮ বলে ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংসে জয় পেতে একদমই কষ্ট হয়নি চেন্নাইয়ের। ড্যারেল মিচেল ১৯ বলে ২৫ আর শিভাম দুবে ১৮ বলে ২৮ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।

এর আগে চেন্নাই সুপার কিংস একাদশে ফিরেই আলো ছড়ালেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলের মতো ব্যাটারকেও নাকানি চুবানি খাওয়ালেন, আউট করলেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও।

মোস্তাফিজ আর রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ বোলিংয়েই ৯ উইকেটে ১৩৭ রানেই আটকে যায় কলকাতা।

ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়।

এমনিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাধারণত পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের শেষদিকে বোলিংয়ে আনা হয়। তবে আজ দেখা গেলো ব্যতিক্রম। ইনিংসের প্রথম ওভারে তুষার দেশপান্ডে কলকাতা ওপেনার ফিল সল্টের (০) উইকেট তুলে নিয়ে দেন খরচ করেন মাত্র এক রান।

দ্বিতীয় ওভারেই মোস্তাফিজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ওই ওভারে মোস্তফিজ তিনটি ডট, একটি বাউন্ডারিসহ দেন মোটে ৬ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ অর্থাৎ ষষ্ঠ ওভারে আবারও বোলিং পান মোস্তাফিজ। এবার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করলেও চারটি ডটসহ মাত্র ৬ রান খরচ করেন। প্রথম দুই ওভারে কাটার মাস্টারের খরচ ১২।

মাঝের ওভারগুলোতে রবীন্দ্র জাদেজা দারুণ বোলিং করে কলকাতাকে আটকে দেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
জাদেজা আউট করেন অংকৃষ রাঘুবানসি (১৮ বলে ২৪), সুনিল নারিন (২০ বলে ২৭) আর ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৩)। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা।

১৮তম ওভারে মোস্তাফিজ বল হাতে নিয়েই পড়েন আন্দ্রে রাসেলের সামনে। শঙ্কা ছিল কি না কী হবে! তবে আন্দ্রে রাসেলকে রুখে দেন মোস্তাফিজ। চারটি ডট দেন। চতুর্থ বলে তো ক্যাচই দিয়েছিলেন রাসেল। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি সেই ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। রাসেল তো একের পর এক বল মিস করে হতাশায় মাটিতেই বসে পড়েছিলেন।

ওই ওভারে আবার একটি নো-বল করেন মোস্তাফিজ। ফ্রি হিট বলটি করেন ওয়াইড, পরের বলে একের বেশি নিতে পারেননি রাসেল। সবমিলিয়ে ওই ওভারে ৯ রান দেন মোস্তাফিজ। ৩ ওভারে দেন ২১।

পরের ওভারে তুষার দেশপান্ডে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলকে। ১০ বলে মাত্র ১০ করতে পারেন ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয় এই হার্ডহিটার।

শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই কলকাতার শেষ ভরসা অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার রানিং ক্যাচ হন আয়ার (৩২ বলে ৩৪)।

পরের দুই বলে ডট দেন মোস্তাফিজ। চতুর্থ বলে আরও এক উইকেট। এবার ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা মিচেল স্টার্ক। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেলস। ওভারে ২ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজের খরচ মাত্র ২ রান। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট।

এমএমআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।