ভারতের বিশ্বকাপ দলে বিবেচনায় ‘১৫৬.৭’ গতির পেসার!
![ভারতের বিশ্বকাপ দলে বিবেচনায় ‘১৫৬.৭’ গতির পেসার!](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/mayank-20240410210635.jpg)
আইপিএল আবির্ভাবেই চমক দেখিয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব। নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চলতি আইপিএলের সব থেকে গতিশীল বলের রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন এই পেসার। তাকে নিয়ে তাই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
ধারাবাহিকভাবে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে বল করার ক্ষমতা রয়েছে মায়াঙ্কের। প্রথম ২ ম্যাচে মাঠে নেমেই তুলে নেন ৬টি উইকেট। যদিও তৃতীয় ম্যাচে নেমে মাত্র ১ ওভার বল করেই মাঠ ছাড়তে হয় মায়াঙ্ককে। পড়েছেন চোটে।
তবে মায়াঙ্কের ভাগ্যে সুখবর লেখা হয়ে যেতে পারে। ক্রিকবাজের খবর অনুযায়ী, মায়াঙ্কের ১৫৬.৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বল নজর কেড়েছে জাতীয় নির্বাচকদের। তাকে বিশ্বকাপের দলে বিবেচনা করার আগে চারটি বিষয়ের দিকে নজর রাখছেন অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি।
প্রথমত, মায়াঙ্কের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তিনি তিনটি মৌসুম লখনৌ শিবিরে রয়েছেন। তবে এই প্রথমবার মাঠে নামার সুযোগ পান। গত বছর চোটের জন্য মাঠে নামা হয়নি তার। চোটপ্রবণতা মায়াঙ্কের জন্য মাইনাস পয়েন্ট।
দ্বিতীয়ত, মায়াঙ্কের ধারাবাহিকতার দিকেও নজর রাখছেন নির্বাচকরা। ধারাবাহিকভাবে ভালো বল না করলে গতি থেকেও কোনও লাভ নেই। ঠিক যেমনটা উমরান মালিকের সঙ্গে ঘটেছে। গতি থাকা সত্ত্বেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। নিয়মিত আইপিএলেও মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না উমরান।
তৃতীয়ত, বিশ্বকাপের মতো সর্বোচ্চ মঞ্চে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে ম্যাচ পড়ার দক্ষতা থাকা দরকার। মায়াঙ্ক সেই নিরিখে কতটা পরিণত হয়ে উঠেছেন, সেটাও জাতীয় নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকবে।
সর্বোপরি, মায়াঙ্কের বোলিং কতটা নিখুঁত, সেটাও পরীক্ষিত হওয়া দরকার বলে মনে করছেন নির্বাচকরা। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বল রাখাটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কতটা জরুরি, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
এই চার শর্ত পূরণ করতে পারলে হুট করে বিশ্বকাপ দলেও ঢুকে যেতে পারেন মায়াঙ্ক। জুনে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।
এমএমআর/এমএস