অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে দৌড়ের অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি

খবরটা ঈদের ছুটির আগেই শোনা যাচ্ছিল; ঈদের ছুটির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজকে সামনে রেখে তিন-চার দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।

এ মুখ, ও মুখ থেকে খবরটা মোটামুটি চাওর হয়ে গেছে। ঈদের ছুটি শেষে আজ সোমবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ আবার শেরে বাংলায় শুরুর পর শোনা গেল ২০ এপ্রিল থেকে তিন দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের কথা।

জাতীয় দলের নতুন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলির নিয়োগ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার ঢাকায় চলে আসা দেখে মনে হচ্ছিল, সত্যিই বুঝি কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে এবং সে লক্ষ্যেই তড়িঘড়ি নতুন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নিয়োগ দেয়া ও স্ব-শরীরে ঢাকা চলে আসলেন তিনি।

জাতীয় দলের প্রায় ২০-২২ জন ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের সিরিজে ব্যস্ত ছিলেন। হয় ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি না হয় টেস্ট খেলেছেন। এর বাইরে দেশের প্রায় দেড় শতাধিক ক্রিকেটার একমাস ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলায় ব্যস্ত।

মোটকথা, তিন ফরম্যাটে জাতীয় দলের সম্ভাব্য পারফরমাররা প্রায় সবাই কম-বেশি খেলার ভেতরে আছেন। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররা এই প্রচন্ড গরমে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম আর বিকেএসপিতে মাঠে একের পর এক ম্যাচ খেলে সময় কাটিয়েছেন।

অর্থাৎ এই দেড় শতাধিক ক্রিকেটারের প্রায় সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ, সক্ষম এবং তাদের ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি তথা ম্যাচ প্র্যাকটিসটাও হচ্ছে নিয়মিত। সে সব ক্রিকেটারদের হঠাৎ এই অস্বাভাবিক গরমে কন্ডিশনিং ক্যাম্প কেন?

সাধারণত কন্ডিশনিং ক্যাম্প হয় অফ সিজনে, মানে যখন ক্রিকেটাররা খেলার বাইরে থাকেন; কিন্তু এখনতো জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই খেলার মধ্যে আছেন।

ফল যাই হোক, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও কিন্তু সবাই শারীরিকভাবে সক্ষম এবং প্রত্যেকের ম্যাচ প্র্যাকটিসটাও আছে। কারণ তারা সবাই অনুশীলনেই ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ফরম্যাটের সিরিজেও অংশ নিয়ে সবাই চার্জড আপ। এ রকম পরিস্থিতিতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প কেন? কি কারণে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আজ সোমবার শেরে বাংলায় হঠৎ গুঞ্জন, সত্যিই এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয় ও জমজমাট ৫০ ওভার আসর প্রিমিয়ার লিগের ১২ দল গড়পড়তা ৯ থেকে ১০ ম্যাচ করে খেলে ফেলেছে। সবাই অনুশীলন ও খেলার ভেতরে আছে।

ঈদের ছুটির পর আজ সোমবার থেকে যে দশম রাউন্ড শুরু হয়েছে, তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সব ক্রিকেটারই অংশ নিচ্ছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগের রাউন্ড রবিন লিগ শেষ হবে। হয়ত ১ বা ২ দিন বিরতির পর শুরু হবে সুপার লিগ।

এ সময়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার অর্থ ক্রিকেটারদের বাড়তি পরিশ্রম এবং আয়োজনটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। ক্লাবগুলো কী ক্রিকেটারদের দীর্ঘ ১১ রাউন্ডের লিগ শেষে সুপার লিগের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের যোগ দেয়ার অনুমতি দেবে?

জাতীয় দলের পরিচর্য্যা,পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান জালাল ইউনুস দিয়েছেন এ সময়োচিত প্রশ্নের জবাব। সোমবার সন্ধ্যার পর জাগো নিউজের সাথে আলাপে জালাল জানান, ‘না, না বর্তমান প্রেক্ষাপটে কন্ডিশনিং ক্যাম্প আয়োজনের কোনোই সুযোগ নেই। আমরা তা করতেও চাই না। তবে হ্যাঁ, জাতীয় দলের নতুন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল খুঁটিয়ে দেখতে চান এবং তার ইচ্ছে ক্রিকেটারদের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে রানিং করানো।’

জালাল যোগ করেন, ‘বিসিবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে ওই রানিং করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ওই অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে জাতীয় দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের রানিং করাতে। অ্যাথলেটিক ট্র্যাক পাওয়া সাপেক্ষে ঐ রানিংয়ের সময় সূচি নির্ধারণ করা হবে।

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।