জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মতো উইকেট চান শান্ত
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ছাড়া আর কোনোটাতেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে এবং টেস্টে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেখানে সব ফরম্যাটেই জয়ের প্রত্যাশা ছিল সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে গো-হারা হেরেছে। টি-টোয়েন্টিতে ২০২৩ সালে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কার কাছে এভাবে পরাজয়ের কারণ হিসেবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার চেয়েও ভালো উইকেটে খেলাটাকেও অনেকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও মনে করেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ট্রু উইকেটেই খেলেছেন তারা। হেরে গেলেও, আগামীতে যেন একই ধরনের উইকেটে খেলতে পারেন, তারা সেটাই দাবি তুলেছেন টাইগার অধিনায়ক।
আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। ৩ মে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের নিজেদের প্রস্তুতির জন্য এটা সুবর্ণ সুযোগ।
তার আগে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও শান্ত মনে করেন দল ভালো অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সর্বশেষ ৬-৭টা সিরিজ দেখি, এই দলটা বেশিরভাগ সিরিজ জিতেছে। যেটা বললাম, দলটা ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা আছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যে সিরিজটা খেললাম, এই ধরনের উইকেট প্রত্যাশা করছি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে যে ধরনের উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে, সে ধরনের উইকেটে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা যায় কি না সে চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বলেন, ‘চেষ্টা করব,যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যখন খেলব, যে ধরনের উইকেটে খেলব, সেই ধরনের উইকেটে খেলা যায় কি না (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। আমার মনে হয় না, এটা খুব একটা সহজ হবে। তবে ভালো উইকেটই প্রত্যাশা করছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অধিনায়ক শান্ত। তার বিশ্বাস, সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে বিশ্বকাপেও ভালো কিছু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজটা (জিম্বাবুয়ে সিরিজ) খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে।’
শ্রীলঙ্কার কাছে তো ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে এই ফরম্যাটে ভালো করার জন্য দলে কী কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন আছে? এ নিয়ে জানতে চাইলে অধিনায়ক শান্ত জানান, তারা যখন দল হিসেবে খেলেন, সবাই পারফর্ম করেন, তখন বাংলাদেশ জয়লাভ করে। টি-টোয়েন্টিতে যেহেতু কোনো বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার নেই, সেহেতু দল হিসেবেই ভালো খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, প্রথমত আমরা দল হিসেবে খেলছি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবং আমাদের দলে কোনো বিশেষজ্ঞ (টি-২০) কোনো ক্রিকেটার নেই। আমরা যখনই দল হিসেবে খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা বেশি জিতি। আর ওভারল যদি বলি, পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। পাশাপাশি স্পিন ও ব্যাটিংটাও আছে। মূল যে বিষয়টা আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা যখন খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা ম্যাচ জিতি।’
আইএইচএস/