নাহিদ রানার ৫ উইকেট, শাইনপুকুরের কাছে হারলো মোহামেডান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

তরুণ দ্রুতগতির বোলার নাহিদ রানা প্রথম সেশনেই মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। ইমরুল কায়েস, রনি তালুকদার, মাহিদুল ইসলাম অংকন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আরিফুল ইসলাম ও আরিফুল হককে নিয়ে গড়া মোহামেডানের শক্তিশালী ও লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেন নাহিদ রানা।

মোহামেডানের ইনিংসের শুরুতে তিন উইকেট এবং পরের স্পেলে বোলিং করতে এসে দুই উইকেট মোট ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে মোহামেডানকে বড় স্কোর করা থেকে আটকে রাখেন সময়ের পেস বোলিং সেনসেশন।

৫০ ওভারে ২২৭ রানের মাঝারি স্কোর গড়ে মোহামেডান। শাইনপুকুরের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ নেন দুটি উইকেট।

ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা আগে পাশের উইকেটে ৩৪১ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরেও আবাহনীকে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জিততে খানিক কষ্টই পোহাতে হয়। কারণ জবাবে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকও ২৮৩-তে পৌঁছে গিয়েছিল।

সে মাঠে একদিন পর ২২৭ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়ে মোহামেডান শাইনপুকুরকে হারাবে, তা হয়তো ভাবেননি অতিবড় মোহামেডান সমর্থকও।

তারপরও আবু হায়দার রনি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাইম হাসান ও নাসুম আহমেদকে নিয়ে গড়া বোলিং লাইনআপের কাছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল যথেষ্টই। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস (ডিএল) পদ্ধতিতে ৬ উইকেটের জয় মাঠ ছেড়েছে আকবর আলীর শাইনপুকুর।

হঠাৎ ডিএল মেথড শুনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠেছেন। কারণ রাজধানী ঢাকার সর্বত্র এতটা বৃষ্টি হয়নি। তবে মিরপুর এলাকায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৩৫ মিনিটের উপরে।

এই পৌনে একঘণ্টার মতো সময়ের একটানা বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছিল। মাঠ পরিচর্যা ও খেলা উপযোগী করতে সময় লেগে যায় অনেক।

দুই ঘণ্টা পর খেলা যখন শুরু হয় তখন ডিএল মেথডে শাইনপুকুরকে টার্গেট দেওয়া হয় ৩০ ওভারে ১৫৮ রানের। শাইনপুকুরের ইনিংসের ২৫ নম্বর ওভারে বৃষ্টি চলে আসে। তাদের রান তখন ছিল ৪ উইকেটে ১২২। ২৪.৩ ওভারে ওই রান করেছিলেন শাইনপুকুরের টপ অর্ডার। তারপর বাকি ৫.৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৩৬ রান অর্থাৎ ৩৩ বলে ৩৬ রান। যা আকবর আলী ও ইরফান শুক্কুর অপরাজিত থেকে তুলে নেন।

এর মধ্যে আকবর আলী ২০ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন এবং মার্শাল আইয়ুব খেলেন ৩৮ বলে ৩০ রানের দায়িত্ব সচেতন ইনিংস। এর আগে দুই মারকুটে ওপেনার তানজিদ তামিম বলপিছু ৩৬ ও জিশান আলম ১৫ বলে ২৬ রান করে শুভসূচনা করে দেন শাইনপুকুরকে।

মোহামেডান বোলাররা শাইনপুকুরের ব্যাটারদের উপর এতটুকু প্রভাব ফেলতে পারেননি। পরবর্তীতে যখন ৬ উইকেট হাতে রেখে ৩৩ বলে ৩৬ রানের প্রয়োজন হয়, তখনও মোহামেডান বোলাররা একটি উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারেননি। শাইনপুকুরের আকবর আলী ও ইরফান শুক্কুর ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এই পরাজয়ে লিগ টেবিলে মোহামেডানের অবনমন ঘটলো। দশ নম্বর ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে মোহামেডান তৃতীয়স্থান চ্যুত হল। সে জায়গায় উঠে এলো শাইনপুকুর। এ দলটিরও সমান ১৪ পয়েন্ট।

অর্থাৎ আকবর আলীর দল শাইনপুকুর আজ মঙ্গলবারের খেলায় জয়সহ ১০ খেলায় ৭ জয়ে সমান ১৪ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় মোহামেডানের উপরে চলে গেল।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।