ক্রিকেটারদের জন্য অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়া কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও একাগ্রতা নিয়ে সমালোচকরা অনেক তির্যক মন্তব্যই করেন। অনেকেই বলেন, তাদের ফিটনেসে ঘাটতি আছে, শারীরিকভাবে ততটা ফিট না। কেউ কেউ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেও পিছপা হন না। তবে বাস্তবতা বলছে, ভিন্ন কথা।

গত ৪ মাস একদমই বিশ্রাম মেলেনি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সেই ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে টানা খেলার ভেতরেই আছেন তারা। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তা সম্পন্ন হতেই শুরু হয়ে যায় বিপিএল।

বিপিএল শেষ হওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সাথে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট সিরিজ। তার মাঝখানেই শুরু হয়ে যায় ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট তথা দেশের ক্রিকেটে একমাত্র ৫০ ওভারের আসার প্রিমিয়ার লিগ। তার প্রথম পর্ব শেষ, আগামী পরশু ২২ এপ্রিল থেকে শুরু সুপার লিগ। চলবে ৪ মে পর্যন্ত।

মোদ্দা কথা, জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটার একদম অবিরাম খেলায় আছেন। তাদের কার ফিটনেসের কী অবস্থা, শারীরিকভাবে কে কেমন আছেন? তা নিরুপনের জন্যই নতুন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলির পরামর্শে আজ শনিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে হয়ে গেল ৩৪ ক্রিকেটারের রানিং টেস্ট।

বিসিবির বেতনভুক্ত স্থানীয় ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি ওই রানিং ট্রেনিংয়ের পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে দাঁড়িয়েই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ইফতি অনেক কথার ভিড়ে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এ রানিং টেস্টে পাশ ও ফেল নেই। তবে এই অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে দৌড়ের পর আমরা জানবো, কার ফিটনেস ও স্ট্রেন্থের কী অবস্থা। ইফতি জানান, সেটা ক্রিকেটারদের জানিয়েও দেওয়া হবে খুব শিগগিরই।

ইফতির কথা, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কী। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কী, সেটা জানার জন্য। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কী অনুশীলন করাতে হবে, এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’

শেরে বাংলা বা অন্য ক্রিকেট ভেন্যু রেখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়া কেন? ট্রেনার ইফতির ব্যাখ্যা, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়া... আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নেই, আমরা তাহলে প্রপার টাইমিং নিরুপন সহজ ও পারফেক্ট হয়। কারণ ওইভাবেই ক্যালকুলেট করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

ইফতি যোগ করেন, ‘আমরা ১৬শ মিটার নিয়েছি ক্রিকেটারদের। তাদের কার্ডিও ভাস্কুলার সিস্টেম কীভাবে কাজ করে, কার ক্যাপাসিটি কেমন; তা জানার জন্য। আর স্প্রিন্ট টেস্ট নিলাম, তারা কে কত দ্রুত এটা দেখতে। ৪০ মিটার স্প্রিন্ট যেটা ছিলো, প্রথম ২০ মিটারে কে কতটুকু গতিময়। সাধারণত এক-দুই মিটারের জন্য একটা রানআউট হয় বা এক-দুই সেন্টিমিটারের জন্য আমরা একটা চার বাঁচাতে পারি না। স্প্রিন্টিং দেখলাম কীভাবে আরও গতিময় করা যায়। আর ১৬শ মিটারে দেখলাম মাঠে থাকার ক্যাপাসিটিটা কতটুকু।’

এই টেস্টে ক্রিকেটারদের কে কেমন করলেন? ট্রেনার ইফতির জবাব, ‘এভারেজ পারফরম্যান্স গুড। তবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। আমরা ট্রেনাররা গুড বলতে পারি না, বলি না। আসলে কারণ আমাদের চাহিদার শেষ নাই। এখানে ৩৫ জনের মত উপস্থিত ছিলো। যেটা হচ্ছে, ফিটনেসের জন্য ভালো।’

এআরবি/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।