আইপিএল শেষ হতেই বিশ্বকাপ
ঠাসা শিডিউল করায় বোর্ডের সমালোচনা হরভজনের
![ঠাসা শিডিউল করায় বোর্ডের সমালোচনা হরভজনের](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/harb-20240519165835.jpg)
আইপিএলের ফাইনাল হবে আগামী ২৬ মে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১ জুন। মানে হলো- আইপিএল শেষ করার পর বিশ্বকাপে যোগ দেওয়ার আগে এক সপ্তাহও বিরতি পাচ্ছেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। অপরদিকে অনেক দল ইতিমধ্যে বিশ্বকাপে যোগ দিতে দেশও ছেড়ে গেছে। আবার কোনো কোনো দল খেলছেন দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
কিন্তু আইপিএলের কারণে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পারছে না ভারত। এমনকি বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে মাত্র দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবে রোহিত শর্মার দল। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচ আছে তাদের। অথচ অন্যান্য দলগুলো খেলছে দুই কিংবা তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
বিশ্বকাপের আগে আইপিএলের এমন ঠাসা শিডিউল মোটেই ভালোভাবে নেননি সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। এর জন্য তিনি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) কঠোর সমালোচনা করেছেন।
হরভজন মনে করেন, আইপিএল আরও আগে শেষ করা দরকার ছিল। কারণ, বিশ্বকাপ খেলতে হলে আলাদা একটি প্রস্তুতি প্রয়োজন। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে ভারতের কমপক্ষে ৪-৫টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা দরকার। এক্ষেত্রে ভারতকে অবশ্যই ভালো দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে হবে।
হরভজন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি, তাদের জন্য ৪-৫টি খেলা (প্রস্তুতি) থাকলে ভালো হতো। আপনি জানেন, যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো শীর্ষ দলের বিরুদ্ধে খেলা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা হচ্ছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ছোট সুযোগই থাকুক না কেন, সেই দুটি খেলার এটির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়া একটি দুর্দান্ত পরামর্শ হতে পারে। আপনি যখন বিশ্বকাপ বা ডব্লিউটিসির (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নসশিপ) মতো টুর্নামেন্ট খেলছেন, তখন দলটিকে ১০-১৫ দিন একসঙ্গে খেলতে হবে, এটি আরও ভালো হবে।
অপরদিকে ভিন্ন কথা বলছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে। তিনি মনে করেন, আইপিএল খেলার কারণে ক্রিকেটাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। এতে বিশ্বকাপে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ভারতকে।
কুম্বলে বলেন, ‘ভারতীয় খেলোয়াড়রা- যারা প্লে-অফের অংশ নয় তারা অবশ্যই তাড়াতাড়ি চলে যাবে। আর যারা খেলবে বা যারা প্লে-অফের অংশ হবে তারা আইপিএলের পরপরই চলে যাবে। তাই আমি দেখতে পাচ্ছি না যে, কোন কারণে প্রস্তুতি ভিন্ন হওয়া উচিত। আমি মনে করি না এর সঙ্গে কোনো সমস্যা আছে।’
বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ মে নিউইয়র্কে। তার আগে আগামী ১ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলবে তারা।
এমএইচ/জিকেএস