গবেষণায় দাবি, ফুটবল চালু হলে বাড়বে মৃত্যু
করোনাভাইরাসে হুহু করে বাড়ছে আক্রান্ত, বাড়ছে মৃত্যু। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ ইতালি, স্পেন, ইংল্যন্ড, জার্মানিতে ফুটবল মাঠে ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চলছে। জার্মানিতে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই তারা দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বুন্দেসলিগা শুরু করতে যাচ্ছে। ইতালি, স্পেন তাদের ফুটবলারদের অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। ইংল্যান্ডও চেষ্টা করছে মধ্যজুনে খেলা মাঠে ফেরানোর।
কিন্তু নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনাভাইরাসের দাপট পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই ফুটবল শুরু করলে ঘোর বিপদ নেমে আাসতে পারে। বেড়ে যেতে পারে মৃত্যুর সংখ্যা। কারণ করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে ফুসফুসে, যা থেকে নিউমোনিয়া, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে জার্মানি এবং ইতালির একদল গবেষকের রিপোর্টে।
বার্লিন, রোম এবং ভেরোনা ভিত্তিক ইমিউনোলোজিস্ট এবং লাঙ স্পেশালিস্টদের নিয়ে করা গবেষণায় বলা হচ্ছে, ইউরোপের যেসব দেশ, তথা করোনা উপদ্রুত দেশগুলোতে যেভাবে দ্রুত পেশাদার লিগ চালুর চেষ্টা চলছে; কিন্তু তাতে বিপদ অনেক বেশি বাড়তে পারে। কঠোর অনুশীলনের কারণে ফুটবলারদের বেশি শ্বাস নিতে হয়। তা থেকেই অনেক সহজে ফুসফুসের গভীরতম অংশে পৌঁছে যেতে পারে করোনাভাইরাস।
ফলে নিউমোনিয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম হতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। উপসর্গহীন ফুটবলারদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক।
তিন গবেষক পাওলো মাত্রিকার্ডি, রবার্তো ডাল নেগ্রো এবং রবার্তো নিসিনির দাবি, সাধারণ মানুষদের তুলনায় বাইরের পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকতে হয় ফুটবলারদের। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেশি। তাদের দাবি, মুখ থেকে বেরুনো ড্রপলেট ফের টেনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফুটবলের মতো শারীরিক সংস্পর্শের খেলায় যা আরও বেশি হতে পারে।
ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, একজন ফুটবলার মাত্র ১ মিনিট ২৮ সেকেন্ড মাঠে থাকলেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
এখনই ফুটবল শুরুর বিরুদ্ধে ফিফাও। ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটির মেডিক্যাল টিমের প্রধান মাইকেল ডি’হুগি বলেছেন, ‘আমার মতে সামনের কয়েক সপ্তাহ ফুটবল বন্ধ রাখাই উচিত। বরং আগামী মৌসুম নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করা যেতে পারে।’
তার সংযোজন, ‘ডাক্তার হিসেবে একথা বলছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি যথেষ্ট শঙ্কিত। কিভাবে শারীরিক সংস্পর্শ আটকাবেন? যতক্ষণ না প্রতিষেধক বেরোচ্ছে, ততক্ষণ কোনোকিছুই নিশ্চিত নয়।’
আইএইচএস/