করোনায় হাওয়া হয়ে গেলো বার্সার ২ হাজার ২২ কোটি টাকা
করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপজুড়ে খেলাধুলা বন্ধ। প্রায় দুই মাস বন্ধ হয়ে থাকার পর অবশেষে জার্মানি তাদের বুন্দেসলিগা শুরু করেছে শনিবার, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। অন্যদেশগুলো এখনও শুরু করেনি। ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ডের মত দেশগুলোও লিগ শুরু করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে, যত যাই হোক, বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি সবগুলো ক্লাবই।
কয়েকদিন আগেই নিউজ হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় শতাধিক ক্লাব দেউলিয়া হওয়ার পথে। ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো দেউলিয়া না হলেও, বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছে।
এই যেমন বার্সেলোনার মত ক্লাব এবারের জুন ক্লোজিং করতে গিয়ে সম্মুখিন হচ্ছে বিশাল আর্থিক ক্ষতির। ক্লাবটির চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া বার্তেম্যু জানিয়ে দিয়েছেন, প্রায় ২২০ মিলিয়ন ইউরো তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ২২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
জুনের শেষ দিকে এসে পুরো অর্থ বছরের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স মেলাবে বার্সা। তার আগেই বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ একটি স্টাডি পরিচালনা করেছে, করোনা মহামারির কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২২০ মিলিয়ন ইউরো ঘাতটি তৈরি হয়ে গেছে ২ মাসের লকডাউনের কারণে।
সেই স্টাডিতেই দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারির কারণে যে প্রভাব পড়েছে ক্লাবের ওপর, তাতে ১৫৪ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে তারা শুধুমাত্র ন্যু ক্যাম্পে টিকিট বিক্রি না হওয়া, অফিসিয়াল স্টোরস এবং মিউজিয়ামের টিকিট বিক্রি না হওয়া, জার্সি বিক্রি না হওয়ার কারণে। এছাড়া বিশ্বব্যাপি বার্সার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেও এই ক্ষতির সম্মুখিন তারা।
বার্সা ক্লাবের বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এই ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ১৫৪ মিলিয়ন ইউরোই নয়, সামনের ট্রান্সফার মার্কেটে খেলোয়াড় বিক্রি থেকে অন্তত ১২৪ মিলিয়ন ইউরো লাভ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ইউরো নাই হয়ে গেছে এরই মধ্যে। কারণ, করোনার কারণে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করতে পারবে না তারা।
আইএইচএস/