ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ৭ মাস পর আবাহনীর বিপক্ষে প্রতিশোধ কিংসের
![ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ৭ মাস পর আবাহনীর বিপক্ষে প্রতিশোধ কিংসের](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/robson-20220725190010.jpg)
শিরোপা নিশ্চিত ছিল বসুন্ধরা কিংসের। রানার্সআপ নিশ্চিত ছিল আবাহনীরও। দুই দলের ম্যাচটি তাই ছিল নেহাতই আনুষ্ঠানিকতা ও মর্যাদার। সেই মর্যাদার লড়াইয়ে সোমবার বসুন্ধরা কিংস ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আবাহনীকে।
প্রথমার্ধ ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ম্যাচের রং বদলে দেন ব্রাজিলিয়ান রবসন। জোড়া গোল করে কিংসকে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনিই।
বসুন্ধরা কিংস এরেনায় এ ম্যাচটি ছিল কিংসের প্রতিশোধের ম্যাচও। ডিসেম্বরে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে আবাহনীর কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল কিংস।
লিগের প্রথম পর্বে প্রতিশোধ নিতে গিয়েও নেওয়া হয়নি কিংসের, হারতে যাওয়া ম্যাচ শেষ মূহূর্তে ড্র করেছিল আবাহনী। অবশেষে ৭ মাস পর কিংস নিলো সেই হারের প্রতিশোধ।
হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। মাঠ ছিল কিছুটা পিচ্ছিল। যে কারণে মাঝেমধ্যেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছিলেন ফুটবলাররা। তাতে বিপত্তিও হয়েছে। ম্যাচে উত্তেজনা দেখা গেছে, খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়ে হাতাহাতিও করেছেন। রেফারিকে বেশ কয়েকবার পকেট থেকে বের করতে হয়েছে হলুদ কার্ড।
এই জয়টা কিংসের চ্যাম্পিয়ন উদযাপন আরও রাঙিয়ে দিল। এই ম্যাচের পরই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি চেয়ে বাফুফেকে হুমকি দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। বাফুফে রেওয়াজের বাইরে না যাওয়ায় কিংসকে ট্রফি ছুঁতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
২০ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। ওই ফ্রিকিক থেকেই গোল আদায় করে নেয় কিংস। ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েলের ফ্রিকিক থেকে গাম্বিয়ান নুহা মারং করেন কিংসের প্রথম গোল। বিরতির বাশি বাঁজার আগেই ম্যাচে ফিরে আসে আবাহনী। ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটনের বাড়ানো বলে গোল করেন রাকিব হোসেন।
৫৬ মিনিটে তৌহিদুল আলম সবুজকে বসিয়ে কিংস কোচ ব্রুজন মাঠে নামান ব্রাজিলিয়ান রবসনকে। ৭১ মিনিটে তিনি গোল করলে দ্বিতীয়বার এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস।
ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে রবসন নিজের দ্বিতীয় ও আবাহনীর তৃতীয় গোলটি করেন। ইনজুরি সময়েই আবাহনী পেনাল্টি পায়। কলিন্দ্রেসের কর্নার ঠেকাতে গিয়ে হাতে বল লাগে ইরানের খালেদ সাফেইয়ের। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলের রাফায়েল।
এবারের লিগে বসুন্ধরা কিংসের এটি ১৭তম জয়। ২১ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৫৪। আবাহনীর সমান ম্যাচে পয়েন্ট ৪৪।
আরআই/এমএমআর/জিকেএস