অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো স্পেন-মরক্কো ম্যাচ
![অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো স্পেন-মরক্কো ম্যাচ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/fff-20221206225457.jpg)
আবারো আরেকটি উত্তেজনাকর ম্যাচ উপহার দিল স্পেন-মরক্কো। ক্রোয়েশিয়া-জাপান ম্যাচের পর এবারের বিশ্বকাপে ২য় ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। প্রথমার্ধের গোলশূন্য অবস্থার পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল দিতে ব্যর্থ হয় দুই দল। স্পেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেললেও গোলটাই কেবল পায়নি আফ্রিকান সিংহ মরক্কো।
ম্যাচের প্রথম ১০-১৫ মিনিট যেভাবে খেলেছে আফ্রিকান দেশ মরক্কো, তাতে মনে হচ্ছিল স্পেন তাদের সামনে পাত্তাই পাবে না; কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় স্পেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। গোলই আদায় করতে পারেনি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি মরক্কো। পরিসংখ্যান টেবিলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, মাত্র ৩১ ভাগ ছিল মরক্কোর দখলে বল। ৬৯ ভাগ ছিল স্পেনের তখলে। কিন্তু গোলের জন্য সঠিক একটি বল তৈরি করতে পারেনি স্প্যানিশরা।
চতুর্থ মিনিটেই স্পেনের পেদ্রি মরোক্কোর ডিফেন্ডারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাস দেন গাভিকে। তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণ করে গোলে ঢোকানোর আগেই ক্লিয়ার করে দেয় মরক্কো। ১২তম মিনিটে দারুন সুযোগ পেয়েছিলো মরক্কো। আশরাফ হাকিমির বড় সুযোগ ছিল! তিনি মরক্কোর হয়ে ফ্রি-কিক নেন। তবে ক্রসবারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায়।
২২ মিনিটে ডানদিক থেকে মরক্কোর জিয়েচের বাজে ফ্রি-কিক, ওলমো হেড করে বিপদমুক্ত করেন। ২৫ মিনিটে স্পেনের গাভির একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। যদিও সাইড রেফারি অফসাইডের ফ্লাগ তুলে বসেন। তবে এ সময় একবার নয়, বারে দু'বার বল বারে আঘাত করে।
২৬তম মিনিটে অ্যাসেনসিও নেটের সাইডে ধাক্কা দেন। বাজেভাবে গোল মিস হয়। ৩৩তম মিনিটেও সুযোগ পায় মরক্কো। তোরেসের কাছ থেকে বলটি ছিনিয়ে নেন মাজরাউই। এবং তারপর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। সিমন কোনও মতে সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকে মরক্কো। বিশ্বকাপের প্রথমার্ধে মাত্র একটি শট গোলমুখে নেয় স্পেন যা তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের পর সর্বনিম্ন। দলের আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় মোরাতাকে।
৭০ মিনিটে ডানি ওলমোর ডি বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শট দারুণভাবে ব্লক করে অগার্ড। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে দানি ওলমোর বাকান ফ্রি কিকে কোন স্প্যানিশ খেলোয়াড়ই মাথা ছোঁয়াতে পারেননি; উলটো বল গোলমুখে গেলে দারুণভাবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বৌনৌ। কর্নার থেকে দারুণ বলে হেড করেছিলেন লাপোর্ত কিন্তু মরক্কোর জমাট রক্ষণভাগের কাছে তা পরাস্ত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ ম্যাচ হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আরআর/