মাঠে নেমেই পেলের ৬৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন পর্তুগালের রামোস

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বসিয়ে রেখে গনকালো রামোসকে মাঠে নামিয়ে শুরুতে কম সমালোচনার শিকার হননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। কিন্তু সেই রামোসই বাজিমাত করলেন। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকটিও আসলে তার পা থেকে। সুইসদের বিপক্ষে পর্তুগাল জয় পেয়েছে ৬-১ গোলের ব্যবধানে। সুইসদের বিপক্ষে মঙ্গলবার আরও কয়েকটি রেকর্ড তৈরি করেছেন রামোস।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন রামোস। মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে রেখেই আক্রমণের পরিকল্পনা সাজাবেন নাকি অভিজ্ঞ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ফেরাবেন প্রথম একাদশে!

অথচ, বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নজর কাড়েন রামোস। প্রথম বিশ্বকাপেই হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখালেন। এর আগে ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা নিজের প্রথম বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এতদিন তার একারই এই কৃতিত্ব ছিল।

এছাড়া গনকালো রামোস ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করেছেন প্রথম ফুটবলার হিসাবে। সেবার কোস্টারিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস স্কুরাভি।

ramos

২১ বছরের র‌্যামোস হলেন বিশ্বকাপের ইতিহাসের কনিষ্টতম ফুটবলার, যিনি নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করলেন। এই রেকর্ড এতদিন ছিল পেলের দখলে। তিনি ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে নজির গড়েছিলেন। ব্রাজিলের সাবেক এই তারকা প্রথম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের নকআউটে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।

বিশ্বকাপের নকআউটে ৬ ম্যাচ খেলে রোনালদো যা গোল করেছেন, এক ম্যাচেই রামোস তাকে চাড়িয়ে যান। সে সঙ্গে ১৯৬৬ সালে করা ইউসেবিওর একটি রেকর্ডেও ভাগ বসান রামোস। চারটি গোলে অবদান রেখেছিলেন ইউসেবিও। তারপর এই প্রথম চার গোলে অবদান রাখেন রামেস। তিনটি নিজে করেন, একটি করালেন।

মঙ্গলবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রামোস বিভ্রান্ত করে দেন সুইজারল্যান্ডের রক্ষণকে। তাকে আটকাতে পারেননি সুইস ডিফেন্স।

১৭ মিনিটের মাথায় গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন তিনি। থ্রো থেকে বক্সের মধ্যে রামোসকে পাস দেন হোয়াও ফেলিক্স।
প্রথম পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের পাস দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন রামোস। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন গোলরক্ষক। ম্যাচের ৫১ মিনিট এবং ৬৭ মিনিটে আরও দু’টি গোল করেন ২১ বছরের স্ট্রাইকার।

৫১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন দিয়োগো দালত। তিনি ক্রস রাখেন বক্সে। বাঁ-পায়ের টোকায় গোলরক্ষকের পায়ের তলা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রামোস। ৬৭ মিনিটের মাথায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেনতিনি। নিজেদের মধ্যে বল খেলে বক্সের মধ্যে তার দিকে বল বাড়ান ফার্নান্দেস।

আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথায় উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রামোস। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে পরিবর্তিত হিসাবে রোনালদোকে মাঠে নামান পর্তুগিজ কোচ। এই প্রথম বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনালদো।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।