নতুন ঘর, অন্যরকম ঈদ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা সাগরিকার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৪

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ফুটবলার মোসাম্মাৎ সাগরিকার জীবনে অন্যরকম ঈদ এবার। গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বাধিক গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের সাগরিকা।

চা বিক্রেতা বাবা লিটন আলির অস্বচ্ছ্বল সংসারে বড় হওয়া সাগরিকা আলো ছড়িয়েছেন পুরো দেশে। ফাইনালে ভারতের কাছে হারতে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশকে ফিরিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তের গোলে। তারপর নাটকীয় টাইব্রেকার শেষে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে।

থাকার মতো ভালো ঘর ছিল না সাগরিকাদের। টিনের চাল আর কাশ ও বাঁশের পাতার বেড়া দেওয়া ঘরে কোনোমতে মাথা গুঁজতেন সাগরিকারা। ফুটবল খেলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পর চারিদিকে যখন সাগরিকার জয়জয়কার, তখন স্থানীয় উপজেলা পরিষদ তাদের নতুন ঘর তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

১৭ মার্চ সাগরিকার ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখনো শেষ হয়নি। নতুন ঘরে উঠতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তবে দৃশ্যমান সেই ঘর সাগরিকাদের ঈদ আনন্দে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে সাগরিকা বলছিলেন,'ঈদে নতুন ঘরে উঠতে পারবো না। আরো কিছু কাজ বাকি আছে। তবে এই ঘর আমাদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।'

সাগরিকার বয়স ১৭ বছর। অনেক ঈদের কথাই মনে আছে তার। তবে এই ঈদটা তাদের জন্য অন্যরকম। সেটা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কারণেই।

'এখন আমাকে অনেকে গুরুত্ব দেন। সবাই খোঁজখবর রাখেন। ফোন দেন, ঈদের দাওয়াত দেন। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে'-বলছিলেন সাগরিকা।

ঈদের দিন কী করবেন? জানতে চাইলে সাগরিকা বলেন, 'আমরা বন্ধুরা মিলে রামরাই দিঘী দেখতে যাবো। অনেক বড় দিঘী।'

ঈদে আপনার কী খাবার পছন্দ? সাগরিকা বলেন, 'মায়ের হাতে সেমাই আর পোলাও-মাংস। তবে সেটা অবশ্যই গরুর মাংস।'

এবার তো আপনার অন্যরকম ঈদ। তো বাবা-মাকে ঈদে কিছু উপহার দিয়েছেন? 'দিয়েছি। মাকে থ্রিপিস এবং বাবা ও ভাইকে শার্ট-প্যান্ট দিয়েছি'-বলছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী ফুটবলার সাগরিকা।

আরআই/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।