যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করেন কে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ১৭ মে ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ফুটবলে সেরা তারকা লিওনেল মেসি; এতে মনে হয় কারো কোনো সন্দেহ নেই। তবে মেসি কি অর্থ উপার্জনের দিক থেকেও সবার উপরে?

এ প্রশ্নটির উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন না। যদিও বরাবরই মেসির আয় নিয়ে আগ্রহ থাকে ফুটবলভক্তদের। প্রশ্নটির উত্তর হলো- হ্যাঁ। এমএলএসে সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেন মেসিই।

এমএলএস প্লেয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত উপাত্ত অনুসারে, মেজর সকার লিগে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করেন ইন্টার মিয়ামির তারকা মেসি। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার ইন্টার মিয়ামি থেকে আয় করেন বছরে ২ কোটি ৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।

এতো গেল কেবল খেলা থেকে মেসির আয়। এছাড়া বিজ্ঞাপন থেকেও প্রচুর অর্থ আয় করেন মিয়ামি তারকা। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ তিনি। বিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'অ্যাডিডাস' থেকে বড় অংকের অর্থ পান আর্জেন্টাইন তারকা। মেজর সকার লিগের খেলা সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান 'অ্যাপল'-এর অর্জিত মুনাফা থেকে অর্থ বরাদ্দ থাকে মেসির জন্য।

গত বছর পিএসজি থেকে মিয়ামিতে নাম লেখান মেসি। বিশাল অংকের অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। খেলাধুলা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় গণমাধ্যম 'স্পোর্টিকা' জানিয়েছে, মিয়ামির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি করেছেন মেসি। এ সময়ের মধ্যে ক্লাবের কাছ থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক, বিজ্ঞাপন ও সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ১৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলে অর্থ আয়ের দিক থেকে মেসির পরে রয়েছেন টরেন্টো এফসির ফরোয়ার্ড লোরেঞ্জো ইনসিগনে। ইতালিয়ান এই তারকা পারিশ্রমিক পান ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন মিয়ামিতে মেসির সতীর্থ সার্জিও বুস্কেটস। তিনি মিয়ামি থেকে নেন ৮৭ লাখ ডলার। চতুর্থ স্থানে আছে শিকাগো এফসির ফরোয়ার্ড জাদরান শাকিরি (৮১ লাখ ডলার), পঞ্চম স্থানে আছেন অস্টিন এফসির ফরোয়ার্ড সেবাস্তিয়ান রিউইসি (৬৭ লাখ ডলার)।

এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।