দক্ষিণাঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বুধবার সকালে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। সকাল ৬টার দিকে শুরু হওয়া প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে গোটা বরিশাল জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। কাঁচা ও আধাপাকা অনেক ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে।

নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
 
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. ইউসুফ জানান, সকাল ৬টায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ৬টা ১০ মিনিটে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। তবে বাতাসের এ গতিবেগ স্থায়ী ছিল মাত্র ২ মিনিট। সোয়া ৬টা পর্যন্ত কালবৈশাখী স্থায়ী ছিল। ঝাড়ো বাতাসের পরে আধাঘন্টা বৃষ্টি হয়। সকালের দিকে ছিল মেঘলা গুমোট আবহাওয়া। দুপুর ১টার দিকে আরও একদফা বৃষ্টিপাত হয়। সকাল ৬টা ও বিকেল ৩টায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে আবহাওয়া অফিসে।

এদিকে আকস্মিক কালবৈশাখীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নগর ও বিভিন্ন এলাকায় আধাপাকা ঘরের টিন ঝড়ো বাতাসে উড়িযে নেওয়ার খবর জানা গেছে। নগরীর ফকির বাড়ি সড়কে একটি সংগঠন কার্যালয়ের পুরো টিনের চালা কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে।

বরিশাল বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২২টি ফিডার রয়েছে। কালবৈশাখী শুরু হলে সবগুলো ফিডার বন্ধ করে দেওয়া হলে দুটি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ঝড়ে গাছ ও ডালপালা পড়ে সবগুলো ফিডারের লাইন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কার করে দুপুর ২টার পর থেকে ফিডারগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। তবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নগরীর পলাশপুর ফিডার চালু করা যায়নি। দীর্ঘ সময় বিদুৎ বন্ধ থাকায় বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ছন্দপতন ঘটে। বিঘ্নিত হয় সরকারি-বেসরকারি দফতরের কাজকর্ম।

সাইফ আমীন/এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।